ঢাকা: বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ (চার্জ) গঠনের শুনানি পিছিয়েছে। প্রধান আসামি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ নয় আসামির সময়ের আবেদনে এ শুনানির দিন আগামী ১২ জুন পুনর্নির্ধারণ করেছেন আদালত।
ঢাকার বিশেষ জজ-৯ আমিনুল ইসলামের আদালতে মঙ্গলবার (২৪ মে) অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য ছিল। ১১ জন আসামির মধ্যে খালেদা জিয়াসহ নয়জন আদালতে অনুপস্থিত থেকে তাদের আইনজীবীদের মাধ্যমে সময়ের আবেদন জানান। ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও এম কে আনোয়ারও আদালতে হাজির থেকে শুনানি পেছানোর আবেদন জানান। এসব আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।
খালেদা জিয়া ছাড়া অনুপস্থিত অন্য আট আসামি হলেন- আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার আমিনুল হক, এ কে এম মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এস আর ওসমানী, সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান, বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ও খনির কাজ পাওয়া কোম্পানির স্থানীয় এজেন্ট হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন।
এম সাইফুর রহমান, আবদুল মান্নান ভূঁইয়া ও এম শামসুল ইসলাম মারা যাওয়ায় এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি হওয়ায় তারা আসামি তালিকা থেকে বাদ গেছেন।
আসামিপক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল।
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি উত্তোলন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণে ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম এবং রাষ্ট্রের ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা ক্ষতি ও আত্মসাৎ করার অভিযোগে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করে দুদক। এ মামলায় একই বছরের ৫ অক্টোবর আদালতে ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি ছাড়াও নাইকো ও গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তা বাতিলের আবেদন জানিয়ে পৃথক পৃথক রিট করেছিলেন খালেদা জিয়া। এসব রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি মামলাগুলোর কার্যক্রম স্থগিত ও রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। কয়েক বছর ধরে স্থগিত থাকার পর মামলাগুলো সচলের উদ্যোগ নিয়ে রুল নিষ্পত্তির আবেদন জানায় দুদক। পরে গত বছর পৃথক পৃথক শুনানি শেষে মামলা তিনটি সচলের রায় দেন হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের আদেশে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৯ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৫
এমআই/এএসআর