ঢাকা: দুনীর্তির মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ডা. এইচ বি এম ইকবালের স্ত্রীসহ তিন সন্তানের তিন বছরের সাজার কার্যকারিতা স্থগিতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।
ফলে ইকবালের স্ত্রী মমতাজ বেগম, দুই ছেলে মঈনুদ্দিন ইকবাল ও ইমরান ইকবাল এবং মেয়ে নওরিন ইকবালকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
রোববার (২৭ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
খুরশীদ আলম খান আরও বলেন, আপিল বিভাগের এ আদেশের ফলে বিচারিক আদালতে তিন বছরের কারাদণ্ড পাওয়া ইকবালের স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে আইনের দৃষ্টিতে এখন পলাতক। তাদের গ্রেফতার করতে আইনগত কোনো বাধা নেই।
আদালতে ইকবালের পরিবারের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ ও কামরুল হক সিদ্দিকী।
সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে জানা যায়, সম্পত্তির বিবরণী জমা দিতে ২০০৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ইকবাল পরিবারকে নোটিশ দেয় দুদক। পরবর্তীতে একই সালের ২৪ মে মামলা করে দেশের দুর্নীতি বিরোধী সংস্থাটি।
এ মামলায় বিচারিক আদালত ২০০৮ সালের ১১ মার্চ ইকবালকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে ১০ বছর এবং মিথ্যা সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার কারণে আরও তিন বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন।
একই সঙ্গে তার স্ত্রী মমতাজ বেগম, দুই ছেলে মোহাম্মদ ইমরান ইকবাল ও মঈন ইকবাল এবং মেয়ে নওরীন ইকবালকে তিন বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। প্রত্যেককে এক লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়।
পরে ইকবাল আত্মসমর্পণ করেন এবং হাইকোর্ট থেকে খালাস পান। তবে তার স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করেননি। কিন্তু হাইকোর্টে আবেদন করলে তাদের সাজার কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়।
এর বিরুদ্ধে ১৫ নভেম্বর আপিলের আবেদন করে দুদক।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৬
ইএস/এমএ