ঢাকা: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নেওয়া ৩২ জনের সাক্ষ্য পুনরায় নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
মঙ্গলবার (০৬ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।
বকশিবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের অস্থায়ী আদালতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম চলছে।
এ মামলায় ৩৪২ ধারায় আত্মপক্ষ সমর্থনে প্রধান আসামি খালেদা জিয়ার অসমাপ্ত লিখিত বক্তব্য পাঠ আগামী বৃহস্পতিবার (০৮ ডিসেম্বর) পর্যন্ত মুলতবি রয়েছে বিচারিক আদালতে। গত ০১ ডিসেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থন শুরু করেছেন তিনি।
খালেদার আইনজীবী ব্যারিস্টার জাকির হোসেন বলেন, সাক্ষ্য নেওয়ার আগে সাক্ষীদের শপথ নিতে হয়। কিন্তু এখানে সেটি করা হয়নি। তাই ৩২ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ বাতিল করে পুনরায় নেওয়ার জন্য বিচারিক আদালতে আবেদন করা হয়। কিন্তু গত ০১ ডিসেম্বর সে আবেদন খারিজ হওয়ায় হাইকোর্টে রিভিশন দায়ের করা হয়েছে। এ আবেদনের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়েছে।
বিচারপতি ফরিদ আহাম্মদ ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদনের শুনানি হতে পারে। খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করবেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
এ মামলায় মোট আসামি চারজন। খালেদা ছাড়া অভিযুক্ত অপর তিন আসামি হলেন- খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩২ জন সাক্ষী। জামিনে থাকা অন্য দুই আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খান আত্মপক্ষ সমর্থন করে আদালতে লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছেন। হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক।
২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা দায়ের করা হয়। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।
২০১৪ সালের ১৯ মার্চ এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের আগের বিচারক বাসুদেব রায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৬
ইএস/এএসআর