ফলে আশিয়ান সিটির প্রকল্পের সকল কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রইলো বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন।
আদালতে আশিয়ান সিটির পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী।
২০১২ সালের ২২ ডিসেম্বর আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), ব্লাস্ট, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন, ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্ট বাংলাদেশ, নিজেরা করি, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন রিটটি দায়ের করেন।
ওই সময় বেলার পক্ষ থেকে বলা হয়েছিলো, ওই এলাকায় আশিয়ান সিটি প্রথমে ৫৫ একর জমির ওপর অবস্থানগত ছাড়পত্র পায়। তখন আশিয়ানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিলো, তারা কোনো জলাভূমি ভরাট করবে না। কিন্তু তারা কাগজপত্রে ৪৩ দশমিক ১১ একর দেখালেও প্রকল্পে মোট ২৩০ দশমিক ৪৬ একর জমি ভরাট করেছিলো।
গত বছরের ১৬ আগস্ট বেলার আইনজীবী রিজওয়ানা হাসান বলেন, ২০১৪ সালের ১৬ জানুয়ারি ওই প্রকল্পকে অবৈধ বলে রায় দেন হাইকোর্ট। পরে তারা (আশিয়ান) জেলা প্রশাসকের অনুমতিপত্রসহ আবার রিভিউ করেন। এ আবেদনের পর একই বছরের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট তাদের আগের রায় বাতিল করে রিভিউ মঞ্জুর করেন আদালত। অর্থাৎ আশিয়ান সিটি প্রকল্প বৈধ হয়ে যায়।
তিনি বলেন, এখন ওই প্রকল্পের আকার অন্তত ১ হাজার ১৯৭ একর।
এরপর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে বেলা। এ আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বছরের ২২ আগস্ট হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি চেয়ে করা (লিভ টু আপিল) আবেদনের শুনানি না হওয়া পর্যন্ত এ স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে। এ সময়ের মধ্যে আশিয়ান সিটির ওই প্রকল্পের কোনো ধরনের বিজ্ঞাপন, প্লট বিক্রি ও কোনো ক্রেতার কাছ থেকে অর্থ নেওয়া যাবে না। অর্থাৎ ওই প্রকল্পের সকল কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে বলে জানান বেলার আইনজীবী মিনহাজুল হক চৌধুরী।
২২ আগস্ট রিজওয়ানা হাসান বলেছিন, আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেছেন। একইসঙ্গে আশিয়ান সিটির প্রকল্পের সকল কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। এর অর্থ কেনো ধরনের উন্নয়ন কাজ করতে পারবে না, বিজ্ঞাপন দেওয়া যাবে না, অর্থ লেনদেন করা যাবে না। কোন কোন মৌজায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উত্তর খান, দক্ষিণ খান, বেরাইদ ও বরুয়া বাথুর মৌজা।
আপিল বিভাগের দেওয়া ওই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে সম্প্রতি আপিল বিভাগে আবেদন করে আশিয়ান সিটি কর্তৃপক্ষ। বুধবার সে আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন চেম্বার আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৭
ইএস/এএসআর