বুধবার (০১ মার্চ) বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
কিসের ভিত্তিতে দুই আসামির বয়স ১৬ বছর উল্লেখ করা হয়েছে তার ব্যাখ্যা দিতে আগামী ৫ মার্চ তদন্ত কর্মকর্তাকে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, নাটোরের বাঘা থানার পলাশী ফতেপুরের মিন্টু মন্ডলকে ২০১৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর হত্যা করে একই এলাকার সুলতানপুর কবরস্থানে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা। পরদিন তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বিল্লাল মন্ডল বাদী হয়ে বাঘা থানায় ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার এজাহারে আসামি হিসেবে লালপুর থানার নওশাড়া গ্রামের মৃত জহিরুলের ছেলে মো. নাজমুলের বয়স উল্লেখ করা হয় ২০ বছর। আরেক আসামি মোয়াজ্জেম হোসেন সোনার বয়স উল্লেখ করা হয় ২৪ বছর।
মামলার তদন্ত শেষে ১৫ জনের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ২১ জুন অভিযোগপত্র দেন এসআই মিজানুর রহমান। কিন্তু অভিযোগপত্রে ওই দু’জনকে শিশু হিসেবে উল্লেখ করা হয়। মামলায় দু’টি অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
এর মধ্যে নাজমুল ও সোনার বিরুদ্ধে অপরাধ বিচারের জন্য শিশু আদালত হিসেবে রাজশাহীর অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-২ এ পাঠানো হয়। এ আদালতে আসামি দু’জন জামিনের আবেদন করেন। আদালত আবেদন খারিজ করে। এ অবস্থায় তারা হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। এ আবেদনের ওপর শুনানির সময় আদালত বুধবার তদন্ত কর্মকর্তাকে তলবের আদেশ দেন।
জামিন আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মর্জিনা রায়হান মদিনা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ০১,২০১৭
ইএস/জেডএস