মঙ্গলবার (১৪ নম্বেবর) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. মঈনুদ্দিন এ রায় দেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ প্রাপ্তরা হলেন-শিমুর স্বামী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বিদ্যাকুট গ্রামের রফিকুল ইসলাম, শামীম আহমেদ, কুড়িঘর গ্রামের মো. আক্তার হোসেন ওরফে বড় আক্তার, মো. আক্তার হোসেন ওরফে ছোট আক্তার এবং একই গ্রামের আরশ আলী।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ১০ জুলাই রাতে রফিকুল তার স্ত্রী শিমুকে নিয়ে কুড়িঘর গ্রাম থেকে রিকশায় করে নিজ বাড়ি যাচ্ছিলেন। তার পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী কুড়িঘর-বিদ্যাকুট সড়কে আগে থেকেই শিমুকে হত্যা করার জন্য বড় আক্তার, শামীম, ছোট আক্তার ও আরশ ওঁৎ পেতে ছিলেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে রফিকুলসহ পাঁচজন ছুরিকাঘাত করে শিমুকে হত্যা করেন। পরদিন ডাকাতির ঘটনা সাজিয়ে নবীনগর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। পরে পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে যে দাম্পত্য কলহের জের ধরে রফিকুলই ওই চারজনকে সঙ্গে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে তার স্ত্রীকে হত্যা করেছেন। শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় সাক্ষ্য পরে পুলিশ রফিকুলকে গ্রেফতার করে। রফিকুল ছাড়া বাকি আসামিরা এখনো পলাতক রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৭
এসআই