আদালতে সোনালী ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন শামীম খালেদ। নিয়োগ প্রার্থীদের পক্ষে ছিলেন কামরুল হক সিদ্দিকী, আব্দুল মতিন খসরু, বিএম ইলিয়াস কচি।
পরে জ্যোর্তিময় বড়ুয়া জানান, সোনালী ব্যাংকের নিয়োগ নিয়ে ৫৪৩ জন হাইকোর্টে রিট আবেদনের পর গত বছরের ৮ আগস্ট হাইকোর্ট রুল জারি করে নিয়োগের ওপর স্থগিতাদেশ দেন। পরবর্তীতে আপিল বিভাগ ৩২ জনের নিয়োগের বিষয়ে আদেশ দিয়ে রুল নিষ্পত্তি করতে বলেন।
চলতি বছরের ২৭ জুলাই হাইকোর্ট রুল খারিজ করে রায় দেন। হাইকোর্টের ওই রায় স্থগিত চেয়ে চেম্বার বিচারপতির আদালতে ১৩৮ প্রার্থী আবেদন করেন। ৬ সেপ্টেম্বর চেম্বার আদালত হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেন। ওই স্থগিতাদেশ তুলে দেওয়ার জন্য সোনালী ব্যাংক আপিল বিভাগে আবেদন করেন।
জ্যোর্তিময় বড়ুয়া বলেন, সোমবার সোনালী ব্যাংকের সে আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার, অফিসার ও অফিসার ক্যাশ পদে নিয়োগ আপাতত স্থগিত থাকবে।
২০১৪ সালের ২৭ জানুয়ারি সোনালী ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) ৭২৫, অফিসার পদে ৫৪৭ এবং সিনিয়র অফিসার ৪৩৫ জন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।
ওই নিয়োগের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্নের পরও অনেক প্রার্থীকে নিয়োগ দিয়ে বাকিদের অপেক্ষমান রাখে। এর মধ্যে গত বছর ফের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয় সোনালী ব্যাংক। ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে অপেক্ষমান থাকা প্রার্থীরা হাইকোর্টে রিট করে বলে জানান জ্যোর্তিময় বড়ুয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৭
ইএস/জেডএম