একইসঙ্গে উচ্চ আদালত জামিন না দিলেও জামিনাদেশ তৈরির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই মামলার অন্য আসামির জামিন আবেদনের শুনানিকালে বিচারপতি শেখ আব্দুল আউয়াল ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান বুধবার (৩১ জানুয়ারি) এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. ফজলুর রহমান খান। অন্যদিকে, আসামি রফিকের জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ রেজাউল করিম ও আইনজীবী মোহাম্মদ আজিজুর রহমান মিসু।
গত বছরের ৭ জানুয়ারি চট্টগ্রামের বায়েজিদ ও আগ্রাবাদ এলাকা থেকে ২২ হাজার পিস ইয়াবাসহ পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ। এরা হলেন- আপন মজুমদার রূপেশ (৩৫), বিপক দাশ (৩৮), সেলিম উদ্দিন (৪০), মো. রফিক (২৮) ও শিরিন সুলতানা আঁখি (২৮)। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ।
এই মামলায় চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি আসামি রফিক জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন। জামিন আবেদনে রফিকের আইনজীবী মোহাম্মদ রেজাউল অপর আসামি সেলিম জামিন পেয়েছেন, তাই রফিকও জামিন পাওয়ার যোগ্য বলে যুক্তি দেখান। কিন্তু আদালত এমন গুরুত্বপূর্ণ মামলায় আসামি সেলিমের জামিন পাওয়া নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে সেলিমের জামিন পাওয়ার নথিসহ জামিন শুনানির জন্য আদালত বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দিন ধার্য্য করেন।
এই আদেশ অনুসারে আইনজীবী মোহাম্মদ রেজাউল করিম আসামি সেলিমের জামিন পাওয়া নথিপত্র আদালতে দাখিল করেন। আদালত নথিপত্র পর্যালোচনা করে সন্দেহ প্রকাশ করেন এবং ওই নথিতে হাইকোর্টের বিভাগীয় দায়িত্বে থাকা স্বাক্ষরকারী চার কর্মকর্তাকে তলব করেন। এরপর ওই কর্মকর্তারা আদালতে উপস্থিত হয়ে সেলিমের জামিন নথিতে যে স্বাক্ষর রয়েছে তা তাদের নয় বলে উল্লেখ করেন।
এরপর আদালত রফিকের জামিন আবেদন খারিজ করে দেন। একইসঙ্গে এর আগে আসামি সেলিম কীভাবে জামিন পেলেন এবং এর সঙ্গে কারা কারা জড়িত তা তদন্ত করতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সিআইডিকে নির্দেশ দেন। পাশাপাশি আদালত এই ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকেও নির্দেশ দেন বলে জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফজলুর রহমান খান।
তিনি বলেন, জামিন আদেশে যে আইনজীবীর নাম দেখানো হয়েছে, সেই নামে কোনো আইনজীবীর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৮
ইএস/এসআই