সংগঠনের কার্যনির্বাহী পর্ষদের জরুরি বৈঠকের পর শনিবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন প্রধান বিচারপতিকে স্বাগত জানানো হয়।
সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন বলেন, অবশ্যই আমরা বলবো এখানে সুপার সেশন (জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন) হয়েছে।
‘সে কারণে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের সঙ্গে আমাদের কার্যনির্বাহী কমিটির ১৪ জনকে শপথ অনুষ্ঠানে যাওয়ার দাওয়াত দেওয়া হয়েছে, আমরা শপথ অনুষ্ঠানে যাবো। ’
রোববার (০৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান বিচারপতিকে অভিনন্দন জানানো হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা এই প্রধান বিচারপতির নিযোগকে স্বাগত জানাচ্ছি। ’
জয়নুল আবেদীন বলেন, আশা করি নতুন প্রধান বিচারপতি আইনাঙ্গণে যে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে তা রিপেয়ার করবেন।
এর আগে শুক্রবার (০২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে নতুন প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।
এরপর সন্ধ্যায় পদত্যাগ করেন আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতি ও প্রধান বিচারপতির দায়িত্বপ্রাপ্ত মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা।
১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর জন্ম নেওয়া বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ৬৭ বছর বয়স পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত প্রধান বিচারপতি পদে থাকবেন।
বিএসসি ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জনের পর লন্ডন ইউনিভার্সিটিতে দু’টি কোর্স সম্পন্ন করা বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ১৯৮৩ সালে হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ১৯৯৯ সালে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী থাকা অবস্থায় ২০০১ সালের ২২ ফ্রেব্রুয়ারি নিয়োগ পান অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে। দুই বছর পর ২০০৩ সালে হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হন তিনি।
পরবর্তীতে ২০১১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
গত বছরের ১০ নভেম্বর সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এস কে সিনহা) পদত্যাগের পর থেকে পদটি শূন্য হয়ে যায়। এর আগে অক্টোবরে অসুস্থতাজনিত কারণে ছুটি নেন তিনি।
ওই সময় থেকে বর্তমান পর্যন্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৮
ইএস/এমএ