ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ডিএনসিসি উপ-নির্বাচনের শুনানি পেছালো

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৮
ডিএনসিসি উপ-নির্বাচনের শুনানি পেছালো

ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র পদে উপ-নির্বাচন ও ১৮টি নতুন ওয়ার্ড এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ১৮টি নতুন ওয়ার্ডের নির্বাচন নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের আবেদনের ওপর বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) শুনানি  হয়নি। 

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ ‘নট টু ডে’ আদেশ দেন।  

নির্বাচন কমিশনের জ্যৈষ্ঠ আইনজীবী সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ফিদা এম কামালের পক্ষে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড মোহম্মদ আশরাফ-উজ-জামান খান আদালতে বলেন, জ্যৈষ্ঠ আইনজীবী সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ফিদা এম কামালের ব্যক্তিগত অসুবিধার কারণে আজ তিনি আদালতে আসতে পারেননি।

এজন্য এ আবেদনের শুনানি পেছানো দরকার।  

এরপর আদালত ‘নট টু ডে’ (আজকে নয়) আদেশ দেন। পরে মোহম্মদ আশরাফ-উজ-জামান খান সাংবাদিকদের জানান, আজ আদালত ‘নট টু ডে’ আদেশ দেওয়ায় এ আবেদনগুলোর শুনানি একদিনের জন্য পেছালো।

এর আগে ০৮ ফেব্রুয়ারি দুই সপ্তাহ শুনানি মুলতবি করেছিলেন আপিল বিভাগ।

চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আবেদন করে ইসি। পরে ৪ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বৃহস্পতিবার পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে বিষয়টি শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।

এর আগে ৯ জানুয়ারি ডিএনসিসির মেয়র পদে উপ-নির্বাচন ও নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের সাধারণ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তফসিল অনুযায়ী, ১৮ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণের তারিখ ছিল।

এ তফসিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৬ জানুয়ারি ভাটারা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান এবং বাড্ডা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।
 
এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৭ জানুয়ারি শুনানি শেষে আদালত ওই তফসিলের ওপর সব কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে ওই নির্বাচনের জন্য তফসিল কেন ‘আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত’ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।  

তফসিল ঘোষণা করা হলেও ভোটার তালিকা চূড়ান্ত না হওয়ায় কীভাবে প্রার্থী হবেন এবং ৩০০ ভোটার সমর্থকের স্বাক্ষর নেবেন। এছাড়া যারা কাউন্সিলর নির্বাচিত হবেন তাদের মেয়াদ কী আড়াই বছর, না কী পাঁচ বছর হবে- এসব প্রশ্নকে সামনে রেখে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। স্থানীয় সরকার সচিব, নির্বাচন কমিশন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র, নির্বাচন কমিশন সচিব ও নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম-সচিবকে এর জবাব দিতেও বলেন আদালত।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৮
ইএস/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।