ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বাসচাপায় ২ শিক্ষার্থীর মৃত্যু: মামলার চার্জশিট গ্রহণ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৮
বাসচাপায় ২ শিক্ষার্থীর মৃত্যু: মামলার চার্জশিট গ্রহণ

ঢাকা: বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় জাবালে নূরের মালিক ও বাসচালকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে দেওয়া চার্জশিট (অভিযোগপত্র) আদালতে গৃহীত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কায়সারুল ইসলাম এ চার্জশিট আমলে গ্রহণ করে পলাতক দুই আসামি জাবালে নূরের অন্য বাসটির মালিক জাহাঙ্গীর আলম ও বাসটির চালকের সহকারী কাজী আসাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

গত ৬ সেপ্টেম্বর দণ্ডবিধির ৩০৪, ২৭৯, ৩২৩, ৩২৫ ও ৩৪ ধারায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর কাজী শরিফুল ইসলাম।

চার্জশিটে ৪১ জনকে স্বাক্ষী করা হয়।

আসামিরা হলেন- জাবালে নূর পরিবহনের সেই বাসচালক মাসুম বিল্লাহ ও তার সহকারী এনায়েত হোসেন এবং বাসটির মালিক শাহাদাত হোসেন। বাসটি যে বাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়েছিল ওই বাসের চালক জোবায়ের সুমন ও চালকের সহকারী কাজী আসাদ এবং বাসটির মালিক জাহাঙ্গীর আলম।  

আসামিদের মধ্যে শাহদাত হোসেন, মাসুম বিল্লাহ ও জোবায়ের সুমন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

আসামি সোহাগ আলী ও রিপন হোসেনের বিরুদ্ধে পুলিশি তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের মামলায় দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, আসামি মাছুম বিল্লাহ ও জোবায়ের সুমনের হালকা যান (কার, জিপ ও মাইক্রোবাস) চালানোর ড্রাইভিং লাইসেন্স সঠিক থাকলেও ৪১ সিটের বাস চালানোর ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল না।  এছাড়া জব্দ করা তিনটি বাসের কোনটিতেই কোনো প্রকার যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল না।

চার্জশিটে আরও উল্লেখ করা হয়, বাসের ড্রাইভার ও হেলপার নিয়োগের এখতিয়ার বাস মালিকের। এই মামলার আসামি ড্রাইভার ও হেলপারদের ড্রাইভিং লাইসেন্স ও বুদ্ধিমত্তা যাচাই ছাড়াই মালিক শাহদাত হোসেন ও জাহাঙ্গীর আলম তাদের নিয়োগ দেন।

গত ২৯ জুলাই সকালে জাবালে নূরের দু’টি বাস আব্দুল্লাহপুরের উদ্দেশে যাওয়ার সময় পাল্লা ও রেশারেশি করে বেশি যাত্রী ও বেশি ভাড়া পাওয়ার আশায় দ্রুত ও বেপরোয়া গতিতে চালাতে শুরু করে।

ড্রাইভার জোবায়েরের বাসটি ড্রাইভার মাসুম বিল্লাহ বাসটিকে পেছনে ফেলে জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভারের ঢালের সামনে রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে ডান দিকে রাস্তা ব্লক করে যাত্রী ওঠাতে থাকেন।

১১টা ৩০ মিনিটে মাসুম বিল্লাহ’র বাসটি ডান দিক দিয়ে যেতে না পেরে বাম দিক দিয়ে যাওয়ার সময় স্বেচ্ছাকৃতভাবে বাসের জন্য অপেক্ষমান শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ১৪/১৫ জন শিক্ষার্থীর উপর তুলে দেন। যার কারণে ১৩/১৪ জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয় যাদের মধ্যে উক্ত কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিম ও বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আব্দুল করিম রাজীব মারা যায়। কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়।

এ ঘটনায় নিহত একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম গত ২৯ জুলাই ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৮
এমআই/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।