ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

চ্যারিটেবল মামলার রায় নিয়ে যা বললেন অ্যাটর্নি জেনারেল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৮
চ্যারিটেবল মামলার রায় নিয়ে যা বললেন অ্যাটর্নি জেনারেল

ঢাকা: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় অনুপস্থিতিতে বিচার চলবে- এমন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে বিএনপি চেয়ার‌পারসন খালেদা জিয়ার আবেদন যদি খারিজ হয় তাহলে বিচারিক আদালতে রায় দেওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

আর যদি খালেদার আবেদনের লিভ মঞ্জুর করা হয় (আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়) তাহলে রায় দেওয়াটা অনিশ্চিত হয়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

রোববার (২৮ অক্টোবর) সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল নিজ কার্যালয়ে এমন মন্তব্য করেন।

বকশীবাজার কারা অধিদপ্তরের মাঠে নির্মিত অস্থায়ী আদালত ভবনে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বিচারকাজ চলছিল। নিরাপত্তার কারণ উল্লেখ করে ৪ সেপ্টেম্বর ওই মামলার বিচার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পুরনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের সাত নম্বর কক্ষকে অস্থায়ী আদালত হিসেবে ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। এ মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত–৫ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান ২০ সেপ্টেম্বর এক আদেশে খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে মামলাটির বিচার কার্যক্রম চলবে বলে আদেশ দেন। এর বিরুদ্ধে গত ২৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিভিশন আবেদনটি করেন খালেদা জিয়া। যেটি ১৪ অক্টোবর খারিজ হয়ে যায়। এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। এর মধ্যে বিচারিক আদালত এ মামলার রায়ের জন্য ২৯ অক্টোবর দিন ঠিক করেছেন।

এদিকে হাইকোর্টে খারিজাদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করেন করেন খালেদা জিয়া। রোববার যে আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়।  

এ বিষয়ে আদেশের জন্য সোমবার দিন ঠিক করেন আপিল বিভাগ। শুনানি শেষে মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা শুনানির সময় খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে প্রায় ৪০ বার সময় নেওয়া হয়েছে। তারপর যখন আসামিপক্ষের বক্তব্য শোনার জন্য তারিখ নির্ধারণ করা হলো, তখন তিনি প্রায় ৩২ বার সময় নিয়েছেন। এরপর বেশ কিছুদিন তিনি কারাগারে থাকাবস্থায় আদালতে যেতে পারেননি। প্রতিবারই বলা হয়েছে তিনি অসুস্থ। তারপরে দু’টি তারিখে তিনি বলেছেন, তিনি যাবেন না। এ পরিস্থিতিতে বিচারক তাকে ছাড়াই এ মামলার যুক্তিতর্কের শুনানির দিন ধার্য্য করেছেন। কিন্তু সেই সময়ও  তার ১২৬ জন আইনজীবীর কেউ আদালতে যাননি। এ অবস্থায় মামলাটিতে আগামীকাল রায় ঘোষণার তারিখ জন্য ধার্য্য রয়েছে।  

এরই মধ্যে খালেদা জিয়ার পক্ষে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়েছে এবং রোববারের শুনানির পর এটি সোমবার আদেশের জন্য রাখা হয়েছে। খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিচারিক আদালত মামলার কার্যক্রম চালানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তার বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেছিলেন। কিন্তু হাইকোর্টেও রায় তার বিপক্ষে গেছে।

তার বিরুদ্ধে আজ আপিল বিভাগে এ মামলার শুনানি হলো। যদি এ মামলায় আপিলে কোনো রকম লিভ (আপিল করার অনুমতি) দেওয়া হয় তাহলে রায় দেওয়াটা (বিচারিক আদালতে) অনিশ্চিত হয়ে যাবে। আর যদি ডিসমিসড (খারিজ) হয়ে যায় তাহলে হয়তো সোমবার রায় দেওয়া সম্ভব হবে, যোগ করেন মাহবুবে আলম।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮,২০১৮
ইএস/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।