ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

চ্যারিটেবল মামলার রায়ের অনুলিপি পেলেন আইনজীবীরা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৮
চ্যারিটেবল মামলার রায়ের অনুলিপি পেলেন আইনজীবীরা

ঢাকা: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার রায়ের অনুলিপি পেয়েছেন এ মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।

বুধবার (১৪ নভেম্বর) রায়টি বের হওয়ার বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল। ছয় শতাধিক পৃষ্ঠার এ রায় পাওয়ার কথা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া।

 

গত ২৯ অক্টোবর এ মামলায় খালেদা জিয়ার সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের রায় দেন ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড মো. আখতারুজ্জামান।  

একই রায়ে খালেদা জিয়ার প্রধানমন্ত্রিত্বের সময়ের রাজনৈতিক সচিব আবুল হারিছ চৌধুরী, তার একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খানেরও সমান সাজা দেন আদালত।

রায়ে ‘শহীদ জিয়াউর রহমান চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’র নামে কেনা ঢাকার কাকরাইল মৌজার ৪২ কাঠা জমি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশও দেন বিচারক।

২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা করা হয়। এ ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে মামলাটি করে দুদক।

তদন্ত শেষে ২০১২ সালে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদাসহ চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম শেষ হলে দুদকের পক্ষে এই মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়।

তবে শুনানি চলাকালে খালেদা জিয়া একাধিকবার আদালতে হাজির হতে ‘অনিচ্ছা’ দেখান। সবশেষ গত ২০ সেপ্টেম্বরও তিনি আদালতে হাজির না হওয়ায় তাকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন বিচারক, একইসঙ্গে খালেদার অনুপস্থিতিতে বিচারিক কার্যক্রম চলবে বলে আদেশ দেন। এর বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া হাইকোর্টে আবেদন করলে ১৪ অক্টোবর সেটি খারিজ হয়ে যায়। হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন খালেদা জিয়া। অন্যদিকে মামলার রায় ঘোষণার জন্য ২৯ অক্টোবর দিন ধার্য করেন বিচারিক আদালত। ২৯ অক্টোবর সকালেই খালেদার করা লিভ টু আপিল খারিজ হওয়ার পর বিচারিক আদালত রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডাদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত–৫। পরে আপিলে সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট।

অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় রায় ঘোষণার পর থেকেই খালেদা জিয়া পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন। মাঝে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৮
ইএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।