মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার বাজারে জরিমানা আদায় করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিউল হাসান।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ও সীমান্ত সূত্রে জানা গেছে, চামড়া রক্ষায় ও পাচারের ঝামেলা এড়াতে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা জীবিত গরু পাচার কমিয়ে গরুর মাংস পাচারের অভিনব কৌশল গ্রহন করেছেন।
যা স্থানীয় বাজারের চেয়ে কেজি প্রতি ৭০/৮০ টাকা কমে বিক্রি করছে চক্রটি। কম দাম পেয়ে এসব মাংস কিনছেন সাধারণ ক্রেতাসহ হোটেল রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরা।
এমন গোপন খবরের ভিত্তিতে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিউল হাসান পুলিশ নিয়ে উপজেলার তুষভান্ডার দৈনিক বাজার ও মহিলা কলেজ গেটের মাংসের দোকানে অভিযান চালান। এ সময় পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১১ এর ২৪ ধারায় দুইজন মাংস ব্যবসায়ীকে ৫ হাজার করে ১০ হাজার টাকা এবং মাংস বিক্রির সনদ না থাকায় অপর এক ব্যবসায়ীকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
গত সপ্তাহে আদিতমারী উপজেলার নামুড়ি বাজারেও ভারতীয় মাংস বিক্রির দায়ে এক ব্যবসায়ীর ৩ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করেন আদিতমারী ইউএনও আসাদুজ্জামান। এরপরও ওই ব্যবসায়ী পুনরায় ভারতীয় মাংস বিক্রি করায় অভিযান চালিয়ে মাংস বিক্রি বন্ধ করে দেন স্যানিটারি পরিদর্শক ফরিদ উদ্দিন।
কালীগঞ্জ ইউএনও রবিউল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার সনদমূলে নির্দিষ্ট স্থানে পশু জবাই করে তবেই বাজারে বিক্রি করতে হবে। পিকআপ ভ্যানে মাংস নিয়ে আসা বন্ধ করতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে জনসচেতনতা সৃষ্টির বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১৯
আরএ