বুধবার (২২ মে) এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ মিছবাহুল আনওয়ার।
রুলে মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩-এর ধারা ৬০(৩) এবং ২০১৭ সালের ২ মার্চ বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) পরিচালকের জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী বাস, মিনিবাসসহ সব ধরনের যানবাহনে অগ্নিনির্বাপন যন্ত্র স্থাপনে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং সংবিধানের ৩১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জনগণের জানমাল রক্ষায় যানবাহনে অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
চার সপ্তাহের মধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বিআরটিএ চেয়ারম্যান, ফায়ার সর্ভিসের মহাপরিচালকসহ ছয়জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
পরে আইনজীবী সৈয়দ মিছবাহুল আনওয়ার সাংবাদিকদের বলেন, আইন থাকলেও গণপরিবহনে অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা রাখার বিধান তা মানা হচ্ছে না। অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ও ব্যবস্থা যদি যানবাহনে থাকে তাহলে এরকম দুর্ঘটনা খুব সহজেই এড়ানো যায়।
সম্প্রতি ধানমন্ডিতে ৭ নম্বর পরিবহনের একটি বাসে আগুনে কমপক্ষে ৮ জন যাত্রী আহত হন, প্রগতি সরণিতে নূরে মক্কা পরিবহনের একটি বাসের ইঞ্জিন ওভারহিটিং হয়ে আগুন ধরে যায়। এর আগে গত বছরের জানুয়ারিতে ফার্মগেটে রাইদা পরিবহনের একটি বাসে আগুন ধরে ১২ যাত্রী আহত হন। এরকম কয়েকটি ঘটনার প্রকাশিত সংবাদ যুক্ত করে রিটটি করেন আইনজীবী আবুল বারাকাত মো. সাজ্জাদ আল বারী সোহেল।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৯
ইএস/জেডএস