মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান দুই আসামির উপস্থিতে এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি হলেন- উত্তর কাফরুলের কামরুল ইসলাম (২৫), সুমন ওরফে চোর সুমন (২৩), এমএম সাইফুল্লাহ (৫০) ও আবু শামা।
আদালতের পেশকার ফোরকান মিয়া জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে ঢাকা, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর থানায় মামলা রয়েছে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে আসামিরা মাদকদ্রব্য সেবন করে এলাকার লোকজনের বাসায় ইটপাটকেল ছুঁড়তেন ও উৎপাত করতেন। তাদের এসব কাজে করতে মানা করেন আলমগীর। পরে তারা আলমগীরের বাসায় ইটপাটকেল ছুঁড়তে শুরু করেন। আসামিরা ২০১৩ সালের ১৬ মার্চ রাতে ফের আলমগীরের বাসায় ডাবের খোলা ছুঁড়ে মারেন। এতে তিনি ঘটনার প্রতিবাদ করেন এবং এ ধরনের উৎপাত করতে নিষেধ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামিরা রাত ৪টার দিকে আলমগীরের বাসার সামনে গিয়ে তার স্ত্রী হাজেরা বেগমকে (৩২) বলেন আপনার স্বামীকে ডাকেন তার সঙ্গে কথা আছে। হাজেরা বলেন আমার স্বামী ঘুমিয়ে পড়েছেন। এ কথা বলায় দণ্ডিতরা চলে যান।
পরের দিন বাড়িওয়ালা এবাদুল্লাহকে বিষয়টি জানালে তিনি মীমাংসা করে দেবেন বলে জানায়। কিন্তু মীমাংসার আগেই ১৭ মার্চ সন্ধ্যায় আলমগীরকে লাঠিসোটা ও বঁটি দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল (ঢামেক) কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী হাজেরা বাদী হয়ে ১৮ মার্চ কাফরুল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্য দেয় ১৬ জন ও আসামিপক্ষে চারজন। আসামিদের মধ্যে কামরুল ইসলাম ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৯
কেআই/এএটি