ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বিডিআর মামলা: ২৯ হাজার পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০২০
বিডিআর মামলা: ২৯ হাজার পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

ঢাকা: পিলখানায় বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দফতরে হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে।

তিন বিচারপতির সইয়ের পর ২৯ হাজার ৫৯ পৃষ্ঠার রায়টি বুধবার (০৮ জানুয়ারি)  প্রকাশ করা হয় বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

হাইকোর্টে রায়দানকারী বিচারকরা হলেন- বিচারপতি মো. শওকত হোসেন, বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার।

এরমধ্যে বিচারপতি মোঃ শওকত হোসেন ১১ হাজার ৪০৭ পৃষ্ঠা, বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ১১ হাজার ৪০৮ থেকে ২৭ হাজার ৯৫৯ পৃষ্ঠা এবং বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ২৭ হাজার ৯৬০ পৃষ্ঠা থেকে ২৯ হাজার ৫৯ পৃষ্ঠা পর্যন্ত লিখেছেন।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানার বিডিআর সদর দফতরে ৫৭ জন সেনা সদস্যসহ ৭৪ জনকে হত্যার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ১৫২ জন বিডিআর সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় দেন বিচারিক আদালত। ওই রায়ের ডেথ রেফারেন্স এবং আপিলের ওপর হাইকোর্ট ২০১৭ সালের ২৬ ও ২৭ নভেম্বর রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। এর মধ্যে ১ জন মারা গেছেন। বাকি ১২ জনের মধ্যে ৮ জনের সর্বোচ্চ সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন ও অন্য চারজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

এখন এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষ রায় পর্যালোচনা করে উচ্চতর আদালতে আপিলের কথা জানিয়েছেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৫২ জনের বিষয় ছাড়াও হাইকোর্ট যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ১৬০ জনের মধ্যে ১৪৬ জনের সাজা বহাল রেখেছেন। বাকি ১৪ জনের মধ্যে দু’জন আগেই মারা গেছেন। আর অন্য ১২ জন খালাস পেয়েছেন।  

খালাসপ্রাপ্ত ৬৯ জনের সাজা চেয়ে ফৌজদারি আপিল করেছিলেন রাষ্ট্রপক্ষ। তাদের মধ্যে ৩১ জনকে যাবজ্জীবন ও চারজনকে সাতবছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। আর অন্য ৩৪ জনের খালাসের রায় বহাল রয়েছে। সব মিলিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পেয়েছেন ১৮৫ জন।

এদিকে বিচারিক আদালত ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে তিনজন মারা গেছেন। বাকি ২৫৩ জনের মধ্যে ১৮২ জনকে ১০ বছর করে,  ২ জনকে ১৩ বছর করে, ৮ জনকে ৭ বছর করে এবং ৪ জনকে ৩ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
 
বাকিদের মধ্য থেকে খালাস পেয়েছেন ২৯ জন। অবশ্য ২৮ জন আপিলই করেননি।

এদিকে হাইকোর্টের রায়ে খালাস পাওয়া আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলী মুক্তি পাওয়ার আগেই অসুস্থ হয়ে ২০১৮ সালের ৫ জানুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১১২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০২০
ইএস/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।