ঢাকা: সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিম হত্যা মামলায় হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন পেয়েছেন চিকিৎসক নুসরাত ফারজানা।
আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদনের পর বুধবার (১৮ নভেম্বর) বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত জামিন দেন।
আদালতে তার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান লিখন।
আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
এ মামলায় ঢাকার সরকারি মানসিক হাসপাতালের রেজিস্ট্রার ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন গ্রেফতার রয়েছেন।
মানসিক সমস্যার চিকিৎসার জন্য গত ৯ নভেম্বর দুপুর পৌনে ১২টার দিকে আনিসুলকে মাইন্ড এইড হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালটিতে ভর্তির কিছুক্ষণ পরই কর্মচারীদের ধস্তাধস্তি ও মারধরে তার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ করে পরিবার।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, উশৃঙ্খল আচরণ করায় কর্মচারীরা তাকে শান্ত করার চেষ্টা করছিলেন। ঘটনার পর হাসপাতালের অ্যাগ্রেসিভ ম্যানেজমেন্ট রুমে তাকে মারধরের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।
ভিডিওটিতে দেখা যায়, হাসপাতালে ঢোকার পরই আনিসুল করিমকে ৬ থেকে ৭ জন টেনে-হেঁচড়ে একটি কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে তাকে ফেলে দিয়ে চেপে ধরেন। হাসপাতালের ব্যবস্থাপক আরিফ মাহমুদ তখন তাদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। মাথার দিকে থাকা দুইজন হাতের কনুই দিয়ে আনিসুল করিমকে আঘাত করছিলেন। এ সময় একটি কাপড়ের টুকরা দিয়ে আনিসুল করিমের হাত পেছনে বাঁধা হয়। চার মিনিট পর তাকে যখন উপুড় করা হয়, তখনই ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে অচেতন হয়ে পড়েন তিনি।
ঘটনার পরদিন প্রথমে ছয়জনকে আটক করে পুলিশ। পরে আরও চারজনকে আটক করা হয়। ঘটনার পরদিন নিহত আনিসুল করিমের বাবা বাদী হয়ে আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের ৩৩ ব্যাচের ছাত্র আনিসুল করিম ৩১তম বিসিএসে পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান। এক সন্তানের জনক আনিসুলের বাড়ি গাজীপুরে। সর্বশেষ আনিসুল বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সহকারী কমিশনারে দায়িত্বে ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০২০
ইএস/আরআইএস