ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

নারায়ণগঞ্জে বিস্ফোরণ: ৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণের আদেশ স্থগিত থাকবে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০২০
নারায়ণগঞ্জে বিস্ফোরণ: ৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণের আদেশ স্থগিত থাকবে

ঢাকা: নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধদের ও নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে আপাতত পাঁচ লাখ টাকা করে দিতে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।

হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ এবং সরকারের করা আবেদন নিষ্পত্তি করে মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন তৈমুর আলম খন্দকার।

এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৯ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট বিভাগ মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধদের ও নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা করে দেওয়ার আদেশ দিয়ে রুল জারি করেছিলেন।

তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ এ টাকা দেওয়ার পর নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক ৩৭টি পরিবারের কাছে এ টাকা বিতরণ করবেন।

রুলে দগ্ধ ও নিহতদের পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে বিবাদীদের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।

চার সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, নারায়ণগঞ্জের মেয়র, তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, রাজউক, ডিপিডিসি, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও এসপি, মসজিদ কমিটিসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

ক্ষতিপূরণের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে সরকার পক্ষ ও তিতাস গ্যাস। ১৩ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান স্থগিতাদেশ দিয়ে আবেদন ১ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানোর আদেশ দেন। সে অনুসারে আবেদনগুলো মঙ্গলবারের কার্যতালিকায় ওঠে।

৭ সেপ্টেম্বর রিট আবেদনটি দায়ের করেছিলেন নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় বাসিন্দা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মার-ই-য়াম খন্দকার।

৪ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হন ৩৭ জন মুসল্লি। রাতেই দগ্ধদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

দগ্ধ ৩৭ জনের মধ্যে অন্তত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৮ সেপ্টেম্বর ১২ শতাংশ দগ্ধ মামুন নামে এক রোগীকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০২০
ইএস/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।