ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

দিনাজপুরের সেই শিশুর মামলা নিষ্পত্তিতে হাইকোর্টের ৪ দফা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০২০
দিনাজপুরের সেই শিশুর মামলা নিষ্পত্তিতে হাইকোর্টের ৪ দফা

ঢাকা: দিনাজপুরে পাঁচ বছরের একটি শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টায় সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে থাকা মামলা আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
 
মামলাটির দীর্ঘসূত্রিতার বিষয় নজরে আনার পর রোববার (৬ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।

বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী মো. আতাউল্লাহ নুরুল কবির। তিনি জানান, এ মামলায় ২৪ জন সাক্ষীর মধ্যে সাতজনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে দুই সাক্ষীকে আবার আসামিপক্ষ রিকল (পুনরায় সাক্ষ্য নেওয়া) করেছে। এছাড়া দুই সাক্ষীকে হোস্টাইল (বৈরী) ঘোষণা করা হয়েছে। এ অবস্থায় মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য উচ্চ আদালতের নজরে এনেছি। হাইকোর্ট চার দফা নির্দেশনা দিয়েছেন।

এক. ৩১ মার্চের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করে দিনাজপুরের নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করবেন।

দুই. মামলা নিষ্পত্তিতে প্রসিকিউশনের গাফিলতি পরিলক্ষিত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
 
তিন. পুলিশ ও আইও যথাসময়ে সাক্ষীদের হাজির করাবেন।
 
চার. দিনাজপুরের সমাজসেবা এবং নারী ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তাকে সরকারিভাবে ভিকটিমের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।
 
জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৮ অক্টোবর দুপুরে বাড়ির সামনের কাঁচা রাস্তায় কয়েকজন ছেলে-মেয়ের সঙ্গে শিশুটি খেলছিল। সেখান থেকে সাইফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি শিশুটিকে ফুসলিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে  ধর্ষণ করেন। এতে তাকে সহযোগিতা করেন আফজাল হোসেন কবিরাজ। পরে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যাওয়ার ভয়ে শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করা হয়। সেই সঙ্গে মেয়েটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে সিগারেটের ছ্যাকা দেওয়া হয়।

এদিকে বাড়ির লোকজন শিশুটির খোঁজ না পেয়ে রাতেই তার বাবা পার্বতীপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরেরদিন সকালে শিশুটিকে বাড়ির পাশের হলুদক্ষেত থেকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ অবস্থায় প্রথমে স্থানীয় ল্যাম্ব হাসপাতাল ও পরে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয় তাকে। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় একই বছরের ২০ অক্টোবর রাতে পার্বতীপুর থানায় সাইফুল ইসলাম ও আফজাল হোসেন কবিরাজকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০২০
ইএস/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।