ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ছাত্র অধিকারের সাইফুল-নাজমুলের জামিন নামঞ্জুর 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২০
ছাত্র অধিকারের সাইফুল-নাজমুলের জামিন নামঞ্জুর  ফাইল ছবি

ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতা করার অভিযোগে লালবাগ থানার মামলায় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের দুই নেতার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।  

বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এই আদেশ দেন।

 

এই দু’জন হলেন- বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম ও সংগঠনের ঢাবি শাখার সহ-সভাপতি মো. নাজমুল হুদা।

এদিন আসামিপক্ষের আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন। তিনি বলেন, এই দুই আসামি এজাহার অনুযায়ী ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতা করেনি। তারা ঘটনার পর মেসেঞ্জারে কুৎসা রটিয়েছেন বলে অভিযোগ। তাই এই আইনে তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন।  

গত ৩ ডিসেম্বর এই দু’জনসহ তিনজনকে দু’দিন করে রিমান্ডে পাঠান আদালত। সেই রিমান্ড শেষে গত ৭ ডিসেম্বর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।  

এরপর গত ৮ ডিসেম্বর অপর আসামি নাজমুল হাসান সোহাগের জামিন আবেদনও খারিজ করেন অপর একটি আদালত৷ 

গত ১১ অক্টোবর দিনগত রাতে রাজধানীর মগবাজার ও আজিমপুরে অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত নাজমুল ও সাইফুলকে গ্রেফতার করে ডিবি। এরপর গত ৪ নভেম্বর বংশাল থানাধীন রায়সাহেব বাজার মোড় থেকে নাজমুল হাসান সোহাগকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাদের কোতোয়ালি থানায় একই বাদীর অন্য মামলায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

গত ১৫ অক্টোবর সাইফুল ও নাজমুল হুদার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান আদালত। আর ৯ নভেম্বর সোহাগকে কারাগারে পাঠানো হয়।

গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থী লালবাগ থানায় ভিপি নুরুল হক নুরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে এ মামলাটি করেন। এই মামলার প্রধান আসামি ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক (সাময়িক অব্যাহতিপ্রাপ্ত) হাসান আল মামুন। নুর একই সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক। বাকি চার আসামি নাজমুল হাসান সোহাগ, সাইফুল ইসলাম, নাজমুল হুদা এবং আবদুল্লাহ হিল বাকী।

তারা সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্র অধিকার পরিষদের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী। এরমধ্যে হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও অন্যদের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২০
কেআই/জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।