ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

এফডিসি দুর্নীতি: মালয়েশিয়ান নাগরিকসহ ৩ জনের কারাদণ্ড

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০২০
এফডিসি দুর্নীতি: মালয়েশিয়ান নাগরিকসহ ৩ জনের কারাদণ্ড

ঢাকা: বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) মালামাল কেনার নামে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এক মালয়েশিয়ান নাগরিকসহ তিনজনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত- ৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ রায় দেন।

রায়ে যন্ত্রপাতি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মালয়েশিয়ার মেসার্স নভেলকো (এম) এর কর্মকর্তা জন নোয়েল ও যন্ত্রপাতি সরবরাহকারী স্থানীয় প্রতিনিধি খন্দকার শহীদুলকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলামকে তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এছাড়া এ তিনজনকে আরও ৩০ লাখ ৪২ হাজার ২০ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। আর অসাধু উপায়ে আত্মসাৎ করা রাষ্ট্রের ৯১ লাখ ২৬ হাজার ৬০ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আসামিরা পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

এফডিসির আধুনিকায়নে যন্ত্রপাতি কেনার নামে সরকারের ৩ কোটি ৪৬ লাখ ৫৮ হাজার ৫২০ টাকার আর্থিক ক্ষতিসাধনের অভিযোগে ২০১৫ সালের ৭ অক্টোবর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় মামলাটি দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক হামিদুল হাসান। মামলায় যন্ত্রপাতি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মালয়েশিয়ার মেসার্স নভেলকোর (এম) কর্মকর্তা জন নোয়েল, যন্ত্রপাতি সরবরাহকারী স্থানীয় প্রতিনিধি খন্দকার শহীদুল, প্রকল্পের ক্রয়কারী প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম এবং বিএফডিসির সে সময়কার ব্যবস্থাপনা পরিচালক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়কে আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ক্রয় প্রক্রিয়ায় পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়সহ এফডিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা পেশাগত দায়-দায়িত্ব পালনে অবহেলা করেছেন। প্রাক-জাহাজীকরণ পর্যায়ে প্রযোজ্য বিধিবিধান অনুসরণের পরিবর্তে মনগড়া বিশ্লেষণের ভিত্তিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরিবর্তে চীনের তৈরি মালামাল জাহাজীকরণের অনুমতি দেন। মালামাল গ্রহণ কমিটির সুপারিশ আছে মর্মে মিথ্যা তথ্য দিয়ে চুক্তি বহির্ভূত চীনের তৈরি মালামাল গ্রহণ করে মূল্য পরিশোধ করেন। নিয়মবহির্ভূত কার্যকলাপ সংঘটনে খন্দকার শহীদুল প্ররোচণা দেন। প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলামের কর্মকাণ্ডকে সমর্থন ও অনুমোদন দেন পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়।

মামলাটি তদন্ত করে দুদক উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী ২০১৭ সালের ২ মার্চ পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়কে অব্যাহতি দিয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।  

২০১৮ সালের ২২ জানুয়ারি তিন আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত চার্জশিটভুক্ত ২১ জন সাক্ষীর মধ্যে ২০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০২০
কেআই/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।