ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ধর্ষণ-হত্যা মামলায় ১ জনের মৃত্যুদণ্ড, ২ জনের যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২১
ধর্ষণ-হত্যা মামলায় ১ জনের মৃত্যুদণ্ড, ২ জনের যাবজ্জীবন প্রতীকী ছবি

নীলফামারী: নীলফামারীতে পৃথক দুই মামলায় এক জনের মৃত্যুদণ্ড ও দু’জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।  

বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে নীলফামারীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ ও ২ থেকে এ রায় দেওয়া হয়।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি হলেন, জেলার ডিমলা উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের সাতজান এলাকার ইয়াসিন আলীর ছেলে মকবুল হোসেন।  

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত দু’জন হলেন, ডিমলার সাতজান এলাকার মতিয়ার রহমানের ছেলে হালিমুর রহমান এবং সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের সোনাখুলি গ্রামের বড়বাড়ী এলাকার জসর উদ্দিনের ছেলে আজগর আলী।

আদালত সূত্র জানায়, মকবুলের মৃত্যুদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানা এবং যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত হালিমুর ও আজগরকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর স্পেশাল পিপি আল-মাসুদ আলাল বাংলানিউজকে জানান, ২০১৩ সালের ২৯ আগস্ট রাতে আব্দুল গণির মেয়ে মৌসুমি নিখোঁজ হয়। পরদিন সকালে তিস্তা নদীর ধারে মেয়ের মরদেহ সন্ধান পান। এ ব্যাপারে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করলে চার আসামির মধ্যে মকবুলের মৃত্যুদণ্ড ও হালিমুরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ছোবদুল ও মোমিনুর রহমানকে খালাস দেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মাহমুদুর রহমান।

এদিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর স্পেশাল পিপি রামেন্দ্র বর্ধণ বাপ্পী বাংলানিউজকে জানান, ধর্ষণের অভিযোগে ২০০৫ সালের ১৩ অক্টোবর শ্বশুর আজগরের বিরুদ্ধে মামলা করেন ছেলে মোকছেদুল ইসলামের স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা। মামলায় সাক্ষ্য, প্রমাণ শেষে শ্বশুরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আহসান তারেক। দণ্ডিত আসামি পলাতক রয়েছেন বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২১
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।