ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশি কার কত টাকা, জানতে চান হাইকোর্ট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২১
সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশি কার কত টাকা, জানতে চান হাইকোর্ট

ঢাকা: বাংলাদেশি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে সুইস ব্যাংকসহ গোপনে বিদেশের ব্যাংকে কার কত টাকা আছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

এছাড়া পানামা ও প্যারাডাইস পেপারে যাদের নাম এসেছে তাদের বিষয়ে তদন্ত করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।

পাশাপাশি বিদেশে পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনতে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
 
দুই আইনজীবীর করা রিটের শুনানি নিয়ে রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। আদালত আগামী ৩০ মার্চ পরবর্তী শুনানি ও আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন।

গত ১ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস।

রিটে অর্থসচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় সচিব, অ্যাটর্নি জেনারেল, বাণিজ্য সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ ১৫ জনকে বিবাদী করাহয়েছে।

আবেদনে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংবাদপত্রের এ বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করা হয়েছে।

আদালতে দুদকের পক্ষ থেকে বলা হয়, আলোচিত পানামা ও প্যারাডাইস পেপারে যাদের নাম এসেছে তাদের বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। এ পর্যন্ত যাদের নাম এসেছে তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন আব্দুল আউয়াল মিন্টু ও মুসা বিন শমসের। এছাড়া সুইস ব্যাংক থেকে টাকা আনার বিষয়ে পররাষ্ট্র ওস্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ইমিগ্রেশন পুলিশ, বিএফআইইউসহ সংশ্লিস্ট সবাইকে অবহিত করা হয়েছে। এছাড়া বিএফআইইউকে একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করতে বলা হয়েছে। তারা সেটা করছে।

রাষ্ট্রপক্ষ থেকে বলা হয়, দ্বৈত নাগরিকের বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন উচ্চ আদালত। এখন এই তালিকা তৈরির কাজ চলছে। এর সংখ্যা কমবেশি ১৪হাজার হবে। তালিকা পেতে সময় প্রয়োজন।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২১
ইএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।