ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বিদায়ী সংবর্ধনায় প্রধান বিচারপতি, বিএনপিপন্থীদের বর্জন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২১
বিদায়ী সংবর্ধনায় প্রধান বিচারপতি, বিএনপিপন্থীদের বর্জন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন

ঢাকা: দেশের ২২তম প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে বিচারিক জীবনের শেষ কর্মদিবসে বিদায়ী সংবর্ধনা জানিয়েছে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি।

আপিল বিভাগের প্রধান বিচারপতির বিচারকক্ষে বুধবার তাকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

তবে অবজ্ঞার অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির বিএনপি সমর্থক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা সংবর্ধনায় যাননি। তারা একই সময়ে আইনজীবী সমিতি ভবনে সংবাদ সম্মেলন করে।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন অবসরে যাবেন আগামী ৩০ ডিসেম্বর। ওই সময়ে অবকাশকালীন ছুটি থাকায় বুধবার বিচারিক জীবনের শেষ কর্মদিবস বুধবার তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি অবসরে যাবেন ৩০ ডিসেম্বর।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আপিল বিভাগের বিচারপতি, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এবং শত শত আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের পক্ষ থেকে  অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন প্রধান বিচারপতির জীবনী পাঠ করে সংবর্ধনা দেন। এরপর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে সহ-সভাপতি মুহাম্মদ শফিক উল্ল্যাহ সংবর্ধনা দেন।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন অবসরে যাবেন চলতি বছরের ৩০ ডিসেম্বর। ওই দিন দেশের ২২তম প্রধান বিচারপতির বয়স ৬৭ বছর পূর্ণ হবে। সংবিধান অনুসারে  বিচারপতি পদের মেয়াদ ৬৭ বছর পর্যন্ত।

বিচারকের পদের মেয়াদ সংক্রান্ত সংবিধানের ৯৬ (১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘এই অনুচ্ছেদের অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে কোনো বিচারক সাতষট্টি বৎসর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন। ’    

বর্তমানে প্রধান বিচারপতিসহ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ৫ জন বিচারপতি রয়েছেন। অন্যরা হলেন, বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মো.নূরুজ্জামান ও বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর কুমিল্লায় জন্ম গ্রহণ করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। বাবা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোস্তফা আলী এবং মা বেগম কাওসার জাহান।

বিএসসি ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জনের পর লন্ডন ইউনিভার্সিটিতে দু’টি কোর্স সম্পন্ন করা বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ১৯৮৩ সালে হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ১৯৯৯ সালে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান।  

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী থাকা অবস্থায় ২০০১ সালের ২২ ফ্রেব্রুয়ারি নিয়োগ পান অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে। দুই বছর পর ২০০৩ সালে হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হন।  

পরবর্তীতে ২০১১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। আপিল বিভাগের বিচারপতির দায়িত্বপালনকে ২০১৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি দেশের ২২তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। বঙ্গভবনে তাকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো.আবদুল হামিদ।

ডিসেম্বরে অবসরে যাচ্ছেন প্রধান বিচারপতি

 

বাংলাদেশ সময়: ১২৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২১
ইএস/এসআইএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।