ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

লঞ্চে আগুন: হতাহতদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২১
লঞ্চে আগুন: হতাহতদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট

ঢাকা: ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামের লঞ্চে আগুন লাগার ঘটনায় হতাহতদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে আহতদের মধ্যে কেউ চিকিৎসা সহায়তার জন্য অর্থ চাইলে জেলা প্রশাসককে তা বিবেচনা করতে বলা হয়েছে।

এছাড়া তদন্ত প্রতিবেদন ৩০ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

দেশের লঞ্চ, জাহাজের ফিটনেসসহ আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সবকিছু আছে কিনা, সে বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন ৯০ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  

এ বিষয়ে করা দুটি রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।    

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ ও আইনজীবী অনীক আর হক।  

এর আগে রোববার (২৬ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। এছাড়া ২৭ ডিসেম্বর লঞ্চ, জাহাজসহ নৌযানের ইঞ্জিনের বিষয়ে যাবতীয় তথ্য চেয়ে এবং আগুন লাগার ঘটনায় হতাহতদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা আইনজীবী সৌমিত্র সরদার অপর রিটটি করেন।

রিটের বিবাদীরা হচ্ছেন- নৌপরিবহন সচিব, বিআইডব্লিওটিএ’র চেয়ারম্যান ও লঞ্চের মালিক হামজালাল শেখকে।  

গত ২৩ ডিসেম্বর দিনগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চটিতে পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দেউরী এলাকার সুগন্ধা নদীতে বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায়। এতে এখন পর্যন্ত ৪১ জনের প্রাণহানি হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন শতাধিক। আগুনে দগ্ধ ৮১ জনের মধ্যে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৪৬ জন। ১৯ জনকে পাঠানো হয়েছে ঢাকায়। আর ১৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। পুড়ে যাওয়া লঞ্চটিতে কতজন যাত্রী ছিলেন তার সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।

বিআইডব্লিউটিএ থেকে জানানো হয়েছে, লঞ্চটিতে প্রায় ৪০০ জন যাত্রী ছিলেন।

এ ঘটনায় ঝালকাঠি সদর থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেছেন গ্রাম পুলিশের এক সদস্য। ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান জানান, পোনাবালিয়ার গ্রাম পুলিশ জাহাঙ্গীর হোসেন অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন।  

এদিকে ওই লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নৌ আদালতে করা মামলায় লঞ্চের চার মালিকসহ আটজনের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। রোববার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে নৌপরিবহন আদালতের বিচারক যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ জয়নাব বেগম এ পরোয়ানা জারি করেন। নৌপরিবহন অধিদপ্তরে অবস্থিত নৌ আদালতে অধিদপ্তরের প্রধান পরিদর্শক শফিকুর রহমান মামলা করেন। এ মামলায় সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে হামজালাল শেখকে রাজধানীর কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।  

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২১, আপডেট: ১৪৪২ ঘণ্টা
ইএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।