ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

দুর্নীতির মামলা: ক্যাপ্টেন শওকতকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২২
দুর্নীতির মামলা: ক্যাপ্টেন শওকতকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

ঢাকা: ফেরির ফগ লাইট কেনায় অনিয়মের অভিযোগে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) সাবেক জিএম ক্যাপ্টেন শওকত সরদারকে দুই সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

তার করা আগাম জামিন আবেদন খারিজ করে মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জে কে পাল। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহীন আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।    

দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ গত ৫ জানুয়ারি ফেরির ফগ লাইট কেনায় অনিয়মের অভিযোগে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের পরিচালক ও জিএমসহ সাত কর্মকর্তার নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

গত ৫ জানুয়ারি দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার আসামিরা হলেন- বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের সাবেক চেয়ারম্যান ও পরিচালক (কারিগরি) ড. জ্ঞান রঞ্জন শীল, মহাব্যবস্থাপক বা জিএম ক্যাপ্টেন শওকত সরদার, মো. নুরুল হুদা, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি পঙ্কজ কুমার পাল, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের (বিএসএফআইসি) সাবেক মহাব্যবস্থাপক (মেকানিক্যাল) ইঞ্জিনিয়ার মো. রহমত উল্লা, বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশনের (বিজেএমসি) মেকানিক্যাল বিভাগের ম্যানেজার ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন ও মেসার্স জনী করপোরেশনের মালিক ওমর আলী।

ঘন কুয়াশায় ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ১০ কিলোমিটার দেখা যায় এমন উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ফগ অ্যান্ড সার্চ লাইট ক্রয়ে পাঁচ কোটি ৬৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তাদের নামে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

এর আগে গত ৩০ ডিসেম্বর কমিশন থেকে মামলা অনুমোদন দেওয়া হয়। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ও পিএসআই কমিটির সুপারিশ উপেক্ষা করে সার্চ অ্যান্ড ফগ লাইটের পরিবর্তে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সার্চ লাইটসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ক্রয় করে সরকারের পাঁচ কোটি ৬৫ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি সাধন করেছেন। অনুমোদনকৃত মামলায় তাদের নামে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২২
ইএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।