ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

রানা প্লাজা ধস: সাড়ে ৫ বছর পর সাক্ষ্য শুরু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২২
রানা প্লাজা ধস: সাড়ে ৫ বছর পর সাক্ষ্য শুরু ফাইল ফটো

ঢাকা: সাভারের রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠনের সাড়ে পাঁচ বছর পর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।

সোমবার (৩১ জানুয়ারি) ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভূঁইয়ার আদালতে মামলার বাদী পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের উপপরিদর্শক ওয়ালী আশরাফ আংশিক জবানবন্দি দেন।

 

সাক্ষ্যগ্রহণের সময় মামলার প্রধান অভিযুক্ত সোহেল রানা কারাগার থেকে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে আদালতে যুক্ত ছিলেন। জামিনে থাকা অন্য আসামিরা এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।  

এতদিন মামলার বিচারে ৩৯ আসামির মধ্যে শুধু দু’জনের পক্ষে উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ থাকায় সাক্ষ্যগ্রহণ থেমে ছিল, যা সম্প্রতি খারিজ হওয়ায় বিচার প্রক্রিয়া আবার শুরু হলো।

আসামিপক্ষের অন্যতম আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ এ তথ্য জানান।  

২০১৫ সালের ২৬ এপ্রিল সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার বিজয়কৃষ্ণ কর ভবন মালিক সোহেল রানাসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে রানার বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ আনা হয়।

২০১৬ সালের ১৮ জুলাই ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ এস এম কুদ্দুস জামান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর সাড়ে পাঁচ বছর পর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হলো।  

রানা প্লাজা ধস হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ৪১ আসামির মধ্যে বর্তমানে কারাগারে আছেন কেবল ভবনের মালিক সোহেল রানা। বাকি আসামিদের মধ্যে জামিনে আছেন ৩২ জন, পলাতক ছয়জন এবং মারা গেছেন দু’জন।

হত্যা মামলায় সিআইডির অভিযোগপত্রে ঘটনার বিবরণীতে এসেছে, ২০১৩ সালের ২৩ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৯টায় সাভারের রানা প্লাজা ভবনের তৃতীয় তলায় পিলার ও দেয়ালে ফাটল দেখা দেয়। খবর পেয়ে বিজিএমইএর কর্মকর্তারা রানা প্লাজা ভবনে আসেন। গার্মেন্টস মালিকদের পরামর্শ দেন, বুয়েটের ভবন বিশেষজ্ঞদের দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করা পর্যন্ত সব কার্যক্রম বন্ধ রাখতে।  

কিন্তু পাঁচ গার্মেন্টস মালিক এবং তাদের লোকজন ভয়ভীতি দেখিয়ে পরদিন ২৪ এপ্রিল শ্রমিকদের কাজে যোগ দিতে বাধ্য করেন। এর সঙ্গে যোগ দিয়ে সোহেল রানা বলেন, ‘আগামী ১০০ বছরেও রানা প্লাজা ভেঙে পড়বে না। ’

২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে ধসে পড়ে রানা প্লাজা। ওই ঘটনায় এক হাজার ১৩৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আহত ও পঙ্গু হন প্রায় দুই হাজার শ্রমিক। দুই হাজার ৪৩৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় সাভার থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওয়ালী আশরাফ ভবন নির্মাণে ‘অবহেলা ও ত্রুটিজনিত হত্যা’ মামলা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২২৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২১
কেআই/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।