দৈনন্দিন জীবনের নানান ঝক্কি ঝামেলা নিয়ে আমরা প্রায়ই হাঁপিয়ে উঠি। এই কাজ-সেই কাজের ভীড়ে বাড়তি দুশ্চিন্তায় অনেক সময় অসুস্থও হয়ে পড়ি আমরা।
বাড়তে থাকা দায়িত্বের সাথে বাড়তে থাকে মানসিক চাপ। আর এই চাপ এড়িয়ে যেতে আমরা অনেকেই ওষুধের সাহায্য নিয়ে থাকি। তবে খুব ছোট কিন্তু বৈজ্ঞানিক একটি পদ্ধতি মানলেই আমরা সহজেই মানসিক চাপমুক্ত সাবলীল, সুন্দর জীবন পেতে পারি।
সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে মানসিক চাপ মানুষের কর্মক্ষমতা আর সমস্যা সমাধানের ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। অথচ একটুখানি লেখালেখির অভ্যেস গড়ে তুলতে পারলেই অনেক দিনের মানসিক চাপগ্রস্ত ব্যক্তির মাঝেও সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পায় এবং মানসিক চাপ অনেকটাই কমে যায়।
কম মানসিক চাপগ্রস্ত ব্যক্তিদের তুলনায় উচ্চ মানসিক চাপগ্রস্ত ব্যাক্তিদের সমস্যা সমাধানের দক্ষতা ৫০শতাংশ কম। কিন্তু লেখালেখির অভ্যাস তৈরির সাথে সাথেই তাদের এই দক্ষতা বৃদ্ধি পেতে থাকে বলে জানান গবেষকরা।
গবেষকদের মতে, দিনের শুরুতে গুরুত্বপূর্ণ কোনো কিছুর নোট লিখে রাখলে তা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। এমনকি তা আমাদের জীবনের নানান জটিল সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বাড়িয়ে পরবর্তী প্রতিবন্ধকতা জয়ের জন্য আমাদের মানসিক ভাবে তৈরি করে।
আমাদের জীবনে বন্ধু-বান্ধব, পরিবার পরিজনদের গুরুত্ব নিয়ে কোন ছোট রচনা লেখার মধ্য দিয়েও আমরা আমাদের কর্মক্ষমতাকে বাড়াতে পারি। এতে দীর্ঘকালীন মানসিক চাপের ক্ষতিকর প্রভাব থেকেও মুক্ত থাকতে পারব আমরা।
একটি ডায়েরিতে প্রতিদিনের ছোট-বড় ঘটনা, হাসি-কান্না আর আনন্দঘন মূহুর্তগুলো লিখে রাখার অভ্যেস করতে পারি। আর এভাবেই নিত্যদিনের ভালো লাগা অনুভূতিগুলোকে ধরে রাখতে পারি কলমের কালির ছোঁয়ায়। এতে আমাদের স্মৃতিশক্তিও বৃদ্ধি পাবে।
জীবন চলার পথে নানা সমস্যা থাকবেই। সেই সঙ্গে বাড়বে মানসিক চাপ। কিন্তু এগুলো বড় করে না দেখে সামনে এগিয়ে যাওয়াই হবে আমাদের মূল উদ্দেশ্য।