আমরা যখন কাজ করি, সেই কাজের স্বীকৃতিও আশা করি। কর্মক্ষেত্রে প্রতিটি কাজের পেছনে, পরিশ্রমের মূলে থাকে সফলতার হাতছানি।
সময়মত অফিসে উপস্থিত থাকা:
সময়মত অফিসে উপস্থিত হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। অফিসের ঠিক সময় পৌঁছানোর জন্য প্রয়োজনে হাতে বাড়তি সময় নিয়ে বের হতে হবে। অফিসে দেরি করে এসে কোনো অজুহাত দাঁড় করানো যাবে না।
পোশাক সচেতনতা:
অফিসে আমাদের পোশাক যেন অবশ্যই বয়স, ব্যক্তিত্ব এবং পদবীর সঙ্গে মানানসই, মার্জিত এবং শোভন হয়।
নিজের কাজ সম্পর্কে ধারণা রাখা:
অফিসের পরিবেশটাকে আগে বুঝে নেয়ার চেষ্টা করতে হবে। যে কাজের দায়িত্বে আছি, সে কাজ সম্পর্কে আমাদের সঠিক ও পরিস্কার ধারণা থাকা প্রয়োজন। মাথা ঠাণ্ডা রেখে কাজটি সুক্ষ্ম ও সুনিপুণভাবে শেষ করার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। প্রয়োজনে আপনি নোট করে রাখতে পারেন। যে কোন সময় উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ আপনাকে কোন ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে, আপনি যাতে স্বচ্ছ ধারণা দিতে পারেন।
মানসিক ভাবে নিজেকে প্রস্তুত রাখুন:
আমাদের জীবনে হঠাৎ করেই কোনো সুযোগ এসে যেতে পারে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক ভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার মানসিক প্রস্তুতি থাকা খুব প্রয়োজন।
কাজ সময় মতো শেষ করুন:
অফিসে গিয়ে প্রতিদিনের কাজ প্রতিদিন যদি ঠিক সময় মত শেষ করলে তাহলে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ অনেক সহজ হয়ে যায়। আর কর্তৃপক্ষ আমাদের প্রতি সন্তুষ্ট থাকবেন।
নিজের যোগ্যতাকে কাজে লাগান:
কাজ করার সময় নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করার চেষ্টা করতে হবে। কাজের দক্ষতা আমাদের পৌঁছে দেবে সর্বোচ্চ সীমারেখায়।
কাজের প্রতি বিশ্বস্ত থাকা:
প্রতিটি কাজে বিশ্বস্ত থাকতে হবে। সেই সাথে মনোযোগী হতে হবে কাজের প্রতি, তাহলে কেউ আমাদের ছোট করার সুযোগ পাবে না।
আনন্দ এবং উৎসাহ নিয়ে কাজ করতে:
কাজে উৎসাহ হারিয়ে গেলে কাজের মান কমে যেতে পারে। কোনো কাজ যেন একঘেঁয়ে না লাগে সেদিকে লক্ষ রাখুন। চেষ্টা করুন কাজের মধ্যে আনন্দ খুঁজে পেতে।
অস্থিরতা প্রকাশ না করা:
পারিবারিক এবং সামাজিক জীবনে আমরা অনেক সময় মানসিক চাপের মধ্যে থাকি। কিন্তু লক্ষ রাখতে হবে ব্যক্তিগত সমস্যার প্রভাব যেন অফিসের কাজে না পড়ে। বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে বিরুপ পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে।
নিজেকে সৎ ও স্বচ্ছ রেখে আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করলে কর্মক্ষেত্রে সফলতা আসবেই।
বন্ধুরা আরও নানা বিষয়ে জানতে ও আপনার মতামত জানাতে https://www.facebook.com/bnlifestyle