নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জে কয়েকটি স্থানে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে আগুন, মশাল মিছিল ও ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এসব ঘটনায় বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠন জড়িত বলে পুলিশের ধারণা।
তবে বিএনপি নেতাদের দাবি, তারা এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটায়নি। উল্টো এসব ঘটনায় আওয়ামী লীগকে দায়ী করছেন তারা।
বুধবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত জেলার সদর, ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জে এসব ঘটনা ঘটে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান জানান, সন্ধ্যায় কয়েকজন যুবক ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মশাল মিছিল এবং রাস্তায় অগ্নিসংযোগ করেছে। তবে আমরা একটি ভিডিও ক্লিপে দেখেছি খালেদা জিয়া, তারেক রহমানের নামে তাদের স্লোগান দিতে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আমরা কয়েকটা নাম পেয়েছি তা অনুযায়ী খোঁজখবর নিচ্ছি। এই মূহূর্তে নামগুলো বলা যাবে না।
এদিকে রাত সাড়ে ৭টায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ফতুল্লার সস্তাপুরে কমর আলী স্কুলের সামনে কিছু যুবক ককটেল হামলা ও অগ্নিসংযোগ করেছে বলে জানান ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিজাউল হক দিপু।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিচুর রহমানের দাবি, রাত ৮টায় শহরের চাষাঢ়া বালুরমাঠ এলাকাতে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের গলিতে একদল ব্যক্তি ককটেল হামলা ও অগ্নিসংযোগ করেছে। ধারণা করা হচ্ছে তারা বিএনপির লোকজন।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব গোলান ফারুক খোকন বলেন, আমাদের তো এখন কোনো কর্মসূচি নেই। আওয়ামী লীগ এসব নাটক সাজিয়েছে। এটি শতভাগ নিশ্চিত করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কাছে অনুরোধ করবো তদন্ত করুন এবং যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখুন। শুধু শুধু আমাদের নিরপরাধ নেতাকর্মীদের হয়রানি করবেন না। আমরা কখনো মাস্ক পরে কর্মসূচি করি না, প্রকাশ্যে করি।
মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু জানান, ১০ ডিসেম্বর আমাদের সমাবেশকে বানচাল করার জন্য তারা এসব করে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করার জন্য আওয়ামী লীগ এই কাজগুলো করছে। এসব ঘটনায় মামলায় নিরীহ বিএনপি নেতাকর্মীদের আসামি করার জন্যই এ নাটক, মামলা হলেই দেখবেন সব বিএনপি নেতারা আসামি।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২২
এমআরপি/এসএ