ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জিপিএ-৫ পেয়েও কলেজে ভর্তি অনিশ্চিত কেয়ার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০২২
জিপিএ-৫ পেয়েও কলেজে ভর্তি অনিশ্চিত কেয়ার

বরিশাল: বরিশালের আগৈলঝাড়ায় অর্থের অভাবে কলেজে ভর্তিসহ লেখাপড়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পাওয়া মেধাবী শিক্ষার্থী কেয়া আক্তারের।

কেয়া আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের উত্তর শিহিপাশা গ্রামের বাদশা সরদারের মেয়ে।

১৪ বছর আগে মাত্র এক বছর বয়সে বাবাকে হারায় কেয়ার। তার বাবা বাদশা সরদার বাদাম বিক্রি করে সংসার চালাতেন।  

স্বামীর মৃত্যুর পর এলাকাবাসী ও আত্মীয়-স্বজনের কাছে হাত-পেতে সংসার চালিয়ে গেছে কেয়ার মা রাশিদা বেগম।

অভাব-অনটনকে লেখাপড়ায় প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়াতে দেয়নি কেয়া। দারিদ্রাকে পেছনে ফেলে এসএসসি পরীক্ষায় সরকারি গৈলা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে সে।  

কেয়ার সাফল্যের বিষয়ে তার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহিরুল হক বলেন, মৃত বাদশার অসহায় পরিবারের সকল সন্তান লেখাপড়ায় মেধাবী। অসহায় ওই পরিবারের কোন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে পরীক্ষার ফিসহ কোন টাকা পয়সা নেওয়া হত না। কেয়ার মতো শিক্ষার্থীরাই আমাদের বিদ্যালয়ের গর্ব।

আর এমন মেধাবী শিক্ষার্থীর কলেজ ভর্তির বিষয় এখন অনিশ্চয়তায় ভুগছে।

কেয়ার মা রাশিদা বেগম বলেন, অভাব-অনটনের টানাটানির সংসারে সাত সন্তানের মধ্যে কেয়া সবার ছোট। পরীক্ষার সময় ভালো একটি জামা-কাপড় কিনে দিতে পারিনি। এমনকি পরীক্ষার সময় ভালো খাবারও খেতে দিতে পারিনি। এর
পরেও মেয়ের এই সাফল্যে আমরা গর্ববোধ করছি। বর্তমানে অর্থের অভাবে কেয়ার ভালো কলেজে ভর্তি হওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সমাজের বিত্তবানরা এ বিষয়ে সহযোগিতার করলে মেয়ের লেখাপড়া চালিয়ে নেওয়া যাবে।  

অদম্য মেধাবী ছাত্রী কেয়া আক্তারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তার এই সাফল্যের পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান রয়েছে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সহযোগিতা ও অনুপ্রেরণা এবং নিজের ইচ্ছাশক্তি। ভবিষ্যতে চিকিৎসক হয়ে দেশের দরিদ্র মানুষের সেবা করতে চায় কেয়া।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০২২
এসএম/এসএএইচ


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।