দিনাজপুর: দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার চাঞ্চল্যকর শিশু মাইমুনা হত্যা মামলায় তার মা সাদিয়া আক্তার আশাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে দিনাজপুর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ যাবিদ হোসেন এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত সাদিয়া আক্তার আশা পার্বতীপুর উপজেলার হরিরামপুর (ভাটিপাড়া) এরশাদ আলীর স্ত্রী।
এ বিষয়ে দিনাজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর রবিউল ইসলাম জানান, সাদিয়া আক্তার আশার স্বামী এরশাদ আলী ঢাকায় কাজ করতেন। তাদের মধ্যে মনোমালিন্য ও পারিবারিক দ্বন্দ্ব লেগেই থাকতো। ২০১৭ সালের ৬ জুলাই রাতে ৬ বছরের সন্তান মাইমুনা আক্তারকে নিয়ে ঘুমাতে যায়। পরদিন ৭ জুলাই ভোরে সেহরি খাওয়ার জন্য শাশুড়ি রেজিয়া বেগম তাদের ডাকতে যান। দরজা খুলে রেজিয়া বেগম সাদিয়া ও মাইমুনাকে ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মাইমুনাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আহত সাদিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সাদিয়ার বাম হাত ও ডান পায়ের কবজি কাটা ছিল। ৭ জুলাই নিহত শিশু মাইমুনার চাচা ইব্রাহিম বাদী হয়ে সাদিয়া আক্তারকে আসামি করে পার্বতীপুর থানায় মামলা করেন।
তিনি আরও জানান, সাদিয়া জবানবন্দিতে পারিবারিক কলহের কারণেই নিজ সন্তানকে হত্যা করেছে বলে দোষ স্বীকার করেন। বিচারক সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০২২
জেএইচ