ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কর্মীদের অবহেলা পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি মেয়র আতিকের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০২২
কর্মীদের অবহেলা পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি মেয়র আতিকের রাজধানীর গুলশান-২ এ নগর ভবনের হলরুমে সমন্বয় সভায় বক্তব্য রাখছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও মশক নিধন কার্যক্রমে কর্মীদের অবহেলা পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।  

রোববার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর গুলশান-২ এ নগর ভবনের হলরুমে ‘শুষ্ক মৌসুমে মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে করণীয়’ বিষয়ে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন এলাকায় মশার বর্তমান পরিস্থিতি এবং মশা নিধনে করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়।  

মেয়র বলেন, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও মশক নিধন কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও তৎপর হতে হবে। বিশেষ করে পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শকদের প্রতিটি এলাকা পরিদর্শন করে কোন কোন ড্রেনে ময়লা বেশি সেটার তালিকা তৈরি করতে হবে। কোন কোন ড্রেনে ও নালায় কচুরিপানা ও অন্যান্য ময়লা বেশি সেগুলো চিহ্নিত করে নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। মাঠে কাজের ক্ষেত্রে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও মশক নিধন কার্যক্রমে কর্মীদের অবহেলা পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, ১০টি অঞ্চলে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে কাউন্সিলরদের অন্তর্ভুক্ত করে সংশ্লিষ্ট সব বিভাগের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি সমন্বিত মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা কমিটি গঠন করে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। ৫টি ওয়ার্ডে প্রাথমিকভাবে ক্র‍্যাশ প্রোগ্রাম শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে পুরো এলাকায় এই সমন্বিত কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

মেয়র বলেন, বর্জ্য বিভাগ প্রতিটি এলাকার ড্রেন, খাল, নালা ও জলাশয় নিয়মিত পরিষ্কার করবে এবং তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করবে। কোনো খাল, নালা ও জলাশয়ে কচুরিপানা জমতে দেওয়া যাবে না। প্রতিদিন পরিষ্কার করে ছবি তুলে সেগুলোর প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, সচিব মো. মাসুদ আলম ছিদ্দিক প্রমুখ।

আগামী বুধবার (৭ ডিসেম্বর) থেকে ১৫ দিনের জন্য পাঁচটি ওয়ার্ডে (ওয়ার্ড নং ০১, ১৭, ৪৯, ৫০ ও ৫২) মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে সব বিভাগের সমন্বিত ক্র‍্যাশ প্রোগ্রাম পরিচালনা করা হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০২২
এমএমআই/এসএ


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।