ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ে চিকিৎসার জন্য একমাত্র ভরসা জেলার আধুনিক সদর হাসপাতাল। তবে জরুর প্রয়োজনে কাজে আসছে না হাসপাতালে থাকা লাইফসাপোর্ট সম্বলিত অ্যাম্বুলেন্সটি৷
জানা যায়, চলতি বছরের মার্চ মাসে ভারত সরকারের দেওয়া উপহার লাইফসাপোর্ট সংবলিত অ্যাম্বুলেন্সটি গ্রহণ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
জরুরি রোগী বহনে অ্যাম্বুলেন্সটি কাজে না আসায় জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক আসাদুজ্জামান বলেন, আমাদের উপজেলাগুলোর দূরত্ব অনেক বেশি। আর উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুরে যেতে হয়। সেজন্য সংকটাপন্ন রোগীর জন্য অ্যাম্বুলেন্সটি অনেক বেশি জরুরি। অথচ নয় মাস হয়ে গেল একজনও রোগী বহন করতে পারেনি অ্যাম্বুলেন্সটি। এটি আসলে আমাদের জন্য হতাশার। আমরা চাই এটি রোগী বহনে কাজে আসুক।
বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক ও নিরাপদ সড়ক চাই -এর ঠাকুরগাঁওয়ের সভাপতি আবু মহিউদ্দিন বলেন, জরুরি রোগী বহনের জন্য লাইফসাপোর্ট সংবলিত অ্যাম্বুলেন্সটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক। অথচ কোন উপকারেই আসছে না। আর দীর্ঘ সময় ধরে ফেলে রাখলে এর কর্মক্ষমতা হারাতে পারে। আমরা উভয়দিকেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এটি রোগী বহনের কাজে উপযোগী করা হোক৷
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. ফিরোজ জামান বলেন,চলতি বছরের মার্চ মাসে লাইফ সাপোর্ট সংবলিত অ্যাম্বুলেন্সটি আমরা গ্রহণ করি৷ এখনো রোগী বহনের কাজ শুরু করা হয়নি৷ ভাড়া নির্ধারণের জন্য একবার আমরা বসেছি। আরো বসে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। আশা রাখছি স্বল্প সময়ের মধ্যে রোগী বহনে কাজ করবে অ্যাম্বুলেন্সটি।
এদিকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতাল জনবল সংকটে ভুগছে। পার্শ্ববর্তী জেলা পঞ্চগড়, নীলফামারী ও দিনাজপুরের বীরগঞ্জ ও খানসামা উপজেলার মানুষ চিকিৎসা নিতে ছুটে আসেন ঠাকুরগাঁওয়ে। কিন্তু ১০০ শয্যা বিশিষ্ট এ হাসপাতাল ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট করলেও জনবল বাড়েনি সেভাবে।
প্রতিদিন গড়ে ১৫ হাজার মানুষের আসা-যাওয়া ঘটে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে। আর ধারণক্ষমতার বাইরে রোগী আসায় সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ সময় ১৮৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০২২
এসএএইচ