ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জুনের মধ্যে দোহাজারী-কক্সবাজার লাইনে চলবে ট্রেন: রেলমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০২২
জুনের মধ্যে দোহাজারী-কক্সবাজার লাইনে চলবে ট্রেন: রেলমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন রেলমন্ত্রী

ঢাকা: রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, আগামী জুনের মধ্যে দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন চালু হবে। তখন সারাদেশ থেকে ট্রেন সরাসরি কক্সবাজারে যাবে।

বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প পরিদর্শনের সময় কক্সবাজারের আইকনিক স্টেশনে উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, একসময় এটি স্বপ্ন ছিল, এখন বাস্তবায়নের পথে। কক্সবাজারবাসী যেমন অপেক্ষায় আছে, তেমনি সারা দেশের মানুষ ট্রেনে করে পর্যটন নগরী কক্সবাজার আসার জন্য অপেক্ষায় আছে। আশা করা যাচ্ছে নির্ধারিত সময় আগামী বছর জুনের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হবে।  

পর্যটকদের জন্যে চলবে ট্যুরিস্ট কোচ   

কক্সবাজারে চলাচলের জন্য ট্যুরিস্ট কোচের আদলে উন্নত মানের কোচ দিয়ে ট্রেন পরিচালনা করা হবে। এজন্য নতুন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় ৫৪টি কোচ কেনা হবে, যেগুলোর জানালা সু-প্রশস্ত। এতে মানুষ অনায়াসে প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখার সুযোগ পাবে বলে জানান মন্ত্রী।  

কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী বলেন, প্রায় ৮০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।  

মন্ত্রী এ সময় নির্মাণাধীন আইকনিক স্টেশন বিল্ডিংয়ের বিভিন্ন তলা ঘুরে দেখেন। আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যে স্টেশন বিল্ডিংয়ের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে বলে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান। মন্ত্রী পরে পরিদর্শন কারে (গাড়ি) প্রায় ৩০ কিলোমিটার ন‌তুন লাইন পরিদর্শন করেন। ইতোমধ্যে ৬০ কিলোমিটার রেললাইনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মোট ১০০ কিলোমিটার সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ রেলপথ নির্মিত হচ্ছে। পুরো প্রকল্পে ৩৯টি মেজর ব্রিজ এবং ২৪২টি  কালভার্ট রয়েছে। হাতি চলাচলের জন্য আন্ডারপাস ও ওভারপাস নির্মাণ করা হচ্ছে। রেললাইনটির নির্মাণকাজ শেষ হলে ট্রান্স‌ এশিয়ান রেলওয়ের সঙ্গে সংযোগ স্থাপিত হবে।  

পর্যটন শহর কক্সবাজারকে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে। পর্যটকদের জন্য নিরাপদ আরামদায়ক, সাশ্রয়ী পরিবেশবান্ধব যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রবর্তন হবে। সহজে ও কম খরচে মাছ, লবণ, রাবারের  কাঁচামাল এবং বনজ ও কৃষিজ দ্রব্য পরিবহন করা সম্ভব হবে।
                 
পরিদর্শনের সময় কক্সবাজারের সংসদ সদস্য সাইমুম সরোয়ার কমল, বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক  (অবকাঠামো) কামরুল আহসান, বাংলাদেশ রেলওয়ের (পূর্বাঞ্চল) মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
  
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৯, ডিসেম্বর ৮, ২০২২  
এনবি/আরএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।