ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

তেঁতুলিয়ায় কলাসহ ৩০০ সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০২২
তেঁতুলিয়ায় কলাসহ ৩০০ সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ!

পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সরকারি জমিতে থাকা প্রায় ৩০০টির বেশি ফলজ গাছ রাতের আধারে কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে জহিরুল ইসলাম জুয়েল নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে উপজেলা প্রশাসন বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন রেজাউল করিম বিপ্লব নামে এক ব্যক্তি।

বৃহস্পতিবার (০৮ ডিসেম্বর) বিকেলে তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর অভিযোগ দেন তিনি।

এর আগে বুধবার (০৭ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে তেঁতুলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া এলাকার হ্যালিপ্যাড নামক স্থান থেকে গাছ কেটে নেওয়ার ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত জহিরুল ইসলাম জুয়েল আজিজনগর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে।

লিখিত অভিযোগ থেকে জানা গেছে, অনেক আগে থেকেই স্থানীয়রা হ্যালিপ্যাড এলাকায় সরকারি জমিতে ফলজ, বনজ খাড়া গাছসহ বিভিন্ন গাছ রোপণ করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে সেসব গাছের ফল খেতেন তারা। এর মধ্যে বুধবার দিনগত রাতে জুয়েল ওই সরকারি জায়গার ২ একর ৫০ শতক জমির ৩০০টি ফলজ গাছ ও ১৬টি বনজ গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে নিয়ে যান। পরে সকালে স্থানীয়রা গাছগুলো দেখতে না পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে পরে জানতে পারেন জুয়েল গাছগুলো কেটে বিক্রি করেছেন।

আরও জানা গেছে, তৎকালিন উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) অনুমতিতে গত ৫ বছর আগে একই স্থানে থাকা একটি মৃত গাছ সরানোর দায়ে আকবর আলীসহ তিন ব্যক্তিকে সাত দিনের জেল ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। কিন্তু অনুমতি ছাড়া ৩০০টির বেশি গাছ কেটে ফেরার পরেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। স্থানীয়রা এ ঘটনার বিচার দাবি করছেন।

স্থানীয় আফজাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, সকালে গাছগুলো কাটা দেখতে পেয়ে জুয়েলের কাছে বিষয়টি জানতে চাই। সে আমাকে জানায় ৯৯ বছরের জন্য জমিটি তিনি সরকারের কাছ থেকে লিজ নিয়েছেন। অনুমতি যদি থেকেই থাকে তাহলে কেন তিনি গাছগুলো রাতের আধারে কাটলেন!

এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ করিম সিদ্দিকি বাংলানিউজকে বলেন, জুয়েল গাছগুলো কেটে অপরাধ করেছেন। তাই গাছগুলো অকশনে দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে ইউএনওর সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।

তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহাগ চন্দ্র সাহা বাংলানিউজকে বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা বিষয়টি প্রাথমিকভাবে ইউপি চেয়ারম্যান ও তহশিলদারকে দেখার জন্য নির্দেশ দিয়েছি। সরকারি জমির গাছ কাটা একটি বড় ধরণের অপরাধ। তদন্তে গাছ কাটার বিষয়টি সত্য প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০২২
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।