ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কলেজ ছাত্রকে ফাঁসাতে গিয়ে ফাঁসলেন দুই কনস্টেবল!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০২২
কলেজ ছাত্রকে ফাঁসাতে গিয়ে ফাঁসলেন দুই কনস্টেবল! হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে গুরুতর আহত এক কলেজছাত্রকে

মানিকগঞ্জ: তিন কলেজ ছাত্রকে মাদক দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে মারধর করে ফেঁসে গেলেন নিজেরাই। মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুরের এ ঘটনায় প্রত্যাহার হলেন দুই পুলিশ সদস্য।

বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মিজানুর রহমান।  

অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্য হলেন- হরিরামপুর থানার পুলিশ কনস্টেবল আব্দুল জব্বার ও আব্দুল লতিফ।  

ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্ররা হলেন- সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের অনার্স ১ম বর্ষের নিজাম উদ্দিন (২৫), ঢাকা কলেজের অনার্স ১ম বর্ষের ফয়সাল আহমেদ এবং টাঙ্গাইল পলিকেটনিক্যালের রায়হান আলম (২৫)। এদের সবার বাড়ি হরিরামপুর উপজেলায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই তিন কলেজ ছাত্র পদ্মা নদীর পাড়ে বসে গল্প করছিলেন। এসময় স্থানীয় অটোচালক মামুন মিয়া ও থানার ওসির বাসার কাজের লোক মাসুদ এসে তাদের কাছে গাঁজা বিক্রির চেষ্টা করে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে অটোচালক মামুন ও মাসুম মিয়া ফোন করে হরিরামপুর থানার পুলিশ কনস্টেবল আব্দুল জব্বার ও আব্দুল লতিফকে ডেকে নিয়ে আসে। এরপর ওই তিন কলেজছাত্রকে মারধর করা হয়। এ সময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে দুই পুলিশ কনস্টেবলসহ ৪ জন পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে ফয়সাল আহমেদ ও রায়হান আলমকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আর নিজাম উদ্দিনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে নিজাম উদ্দিন সেখানেই চিকিৎসাধীন।

হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মোহাম্মদ মুসা বলেন, আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা বেশি খারাপ হওয়াতে তাকে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে, রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল হক বলেন, অটোচালক মামুন ও ওসির বাসার কাজের লোক মাসুম গাঁজা দিয়ে তাদের ফাঁসাতে চেষ্টা করে। এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। আমাদের জানা মতে, ওই তিন কলেজ ছাত্র কোনোদিন মাদক সেবন করে নাই। তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগও নাই।

পুলিশ সুপার মুহাম্মদ গোলাম আজাদ খান বলেন, তিন কলেজ ছাত্রের ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তারা দোষী প্রমাণিত হলে বিভাগীয়ভাবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১১১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০২২
এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।