মুন্সিগঞ্জ: বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় মহাসমাবেশ ঘিরে মুন্সিগঞ্জের ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে, ঢাকা-দোহার ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গণপরিবহন চলাচল অর্ধেকে নেমে এসেছে।
অন্তত ৩০টি পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে বাসে বাসে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (০৯ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই এমন পরিস্থিতি চলছে লৌহজং উপজেলার মাওয়াস্থ পদ্মা সেতুর টোল প্লাজার সামনে ও শিমুলিয়া ও মাওয়া চৌরাস্তায়।
এসব মহাসড়কে দিনভর বাস ও প্রাইভেটকারে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। এ সময় পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। একসঙ্গে ৪-৫ জন দেখলেই পুলিশের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে যাত্রীদের।
সরেজমিনে জেলার শ্রীনগর উপজেলার ঢাকা-দোহার বাইপাস সড়কে, ছনবাড়ি ও বেঁজগাঁও পয়েন্টে পুলিশের চেকপোস্ট চোখে পড়ে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে জেলার গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড, বাউশিয়া, বালুয়াকান্দি, জামালদী বাসস্ট্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি পয়েন্টে পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
জেলা শহরের হাটলক্ষীগঞ্জ এলাকার মুন্সীগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনালে পুলিশের চেক পোস্ট দেখা গেছে। সেখানেও চলছে তল্লাশি।
এদিকে এ মহাসড়কে যানবাহন চলাচল কমেছে। এতে সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। অনেক যাত্রীকে পায়ে হেঁটে গন্তব্যের উদ্দেশে ছুটে যেতে দেখা গেছে।
এসব বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব বলেন, জেলা আইন-শৃঙখলা রক্ষার্থে জেলার ৩০টি পয়েন্টে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেকপোস্টগুলোতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৯০০ সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন। তবে চেকপোস্টগুলোতে কোনো আটকের ঘটনা ঘটেনি।
জেলার লৌহজং উপজেলার পদ্মা সেতুর টোল সামনে যাত্রী আসাদ উজ্জামান নবীন বলেন, বাস চলাচল কম থাকায় পায়ে হেঁটেই ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছি। আমার মতো অনেক যাত্রীর কপালে বাস জোটেনি।
জেলার গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড এলাকার জুয়েল দেওয়ান বলেন, গণপরিবহনের সংকটের কারণে ঘণ্টা ধরেই বসে আছি। বাসের দেখা নেই। স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানকে নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিলাম আত্মীয়ের বাসায়। এখন মনে হচ্ছে বাড়িতেই ফিরে যেতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০২২
এসএএইচ