পটুয়াখালী: শুধু সরকারি দপ্তর নয়, বেসরকারি ও ব্যক্তি পর্যায়েও দুর্নীতির প্রচলন আছে বলে মন্তব্য করেছেন পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) শরীফুল ইসলাম।
শুক্রবার (০৯ ডিসেম্বর) সকালে পটুয়াখালীতে আন্তজার্তিক দুর্নীতি বিরোধী দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
পটুয়াখালীর ডিসি শরীফুল ইসলাম বলেন, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আছে। কিন্তু সরকারি দপ্তরগুলো ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে দুর্নীতি অনেকটাই কমে আসছে। ২০৪১ সালের পরে দুর্নীতি নিশ্চিহ্নের দিকে যাবে।
এছাড়া বেসরকারি সংস্থার দৌরাত্ম, নামসর্বস্ব ও ঠিকানা এবং কার্যক্রম বিহীন এনজিও'র বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, আমরা যা চোখে দেখি বা শুনি, সেটা নিয়েই আলোচনা করি। কিন্তু অনেক কিছুই চোখের ও কানের আড়াল থাকে। সেটা নিয়ে আলোচনা হয় না।
ডিসি আরও বলেন, অনেক বেসরকারি সংস্থা কিছু না করে বা সামান্য কিছু কাজ করে সুন্দরভাবে রিপোর্টসহ বই প্রকাশ করে। কিন্তু খোঁজ নিয়ে তাদের কার্যক্রম, অফিস বা ঠিকানা পাওয়া যায় না। এ জন্য এনজিওগুলোর জেলা প্রশাসনের ছাড়পত্র নেওয়ার সময় তদন্তের মাধ্যমে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আবার অনেকে নিজের দায়িত্বে অবহেলা ও তা পালনে ফাঁকিসহ নানাভাবে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে থাকেন। এটাও কিন্তু দুর্নীতি।
পটুয়াখালীর ডিসি আরও বলেন, পরিবারের ছোট সদস্যদের দেশের চলমান আইন, কানুন ও নিয়মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার জন্য শিখাতে হবে। তাদের অনৈতিক পন্থা অবলম্বন থেকে দূরে রাখতে হবে। তাহলে আস্তে আস্তে তাদের মধ্যে সততা ও দেশপ্রেমের চর্চা শুরু হবে।
পরে পটুয়াখালী সোনালী ব্যাংক চত্বরে মানববন্ধন এবং জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি একেএম শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন দুদকের উপ-পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহমদ মঈনুল হাসান ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হুমায়ন কবির। এছাড়া সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারীরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০২২
এফআর