ফরিদপুর: ফরিদপুরের বিএনপির ৩৪ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত ১ ডিসেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে ফরিদপুরের কোতোয়ালি, বোয়ালমারী, সালথা ও সদরপুর থানায় মামলাগুলো করে পুলিশ। ৪ মামলায় মোট ৩২৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০৬ জনের নাম উল্লেখ করার পাশাপাশি ২২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
গ্রেফতার আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিরা হলেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম মিয়া (৫৩), নগরকান্দা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান (৫১) ও সহ-সভাপতি আলীমুজ্জামান (৫৪), বোয়ালমারী পৌর বিএনপির সহসভাপতি আতাউর রহমান খান (৫২), বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সদস্য ফরিদুল ইসলাম (৪৫), দাঁদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হামিদুল হক (৫৫) এবং জেলা যুবদলের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক সিরাজ মৃধা (৫৪)।
জানা গেছে, ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানায় করা মামলায় ৩২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ জনকে। এর মধ্যে এজাহারভুক্ত ৬ জন ও অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বোয়ালমারীতে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৬০ থেকে ৭০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে এজাহারভুক্ত ৭ জন এবং ১ জন অজ্ঞাতনামা আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সালথা থানায় করা মামলায় এজাহারনামীয় ২৩ জন ও ৪০ থেকে ৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে এজাহারনামীয় ৩ জন এবং অজ্ঞাতনামা ১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সদরপুরের মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে ২১ জনকে। আর অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ জনকে। সেখানে এজাহারনামীয় চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ ইমদাদ হুসাইন হোসাইন বলেন, ১ ডিসেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ফরিদপুরে মোট চারটি মামলা হয়েছে। নতুন করে আর কোনো মামলা হয়নি। এসব মামলার এজাহারনামীয় ২০ জন ও অজ্ঞাতনামা ১৪ আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০২২
জেএইচ