ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ফাঁকা মতিঝিল, খোলেনি ফুটপাতের কোনো দোকান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২২
ফাঁকা মতিঝিল, খোলেনি ফুটপাতের কোনো দোকান

ঢাকা: জনশূন্য রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র বাণিজ্যিক এলাকা মিতিঝিল। এদিন সকালে কিছু রিকশা, সিএনজি ছাড়া সাধারণ মানুষের কোনো আনাগোণা ছিল না এই এলাকার আশেপাশে।

আর ফুটপাতের কোনো দোকান বা চায়ের স্টলও খুলতে দেখা যায়নি।

তবে বড় খাবারের হোটেলগুলো খোলা থাকলেও গ্রাহক সংকটে বেকার বসে থাকতে দেখা গেছে কর্মচারীদের। মতিঝিলের প্রতিটি মোড়ে মোড়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

শনিবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে মতিঝিল হাটখোলা আরামবাগ, ইত্তেফা মোড়, বাংলাদেশ ব্যাংকের আশেপাশের এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, গতকাল শুক্রবার (০৯ ডিসেম্বর) ও আজ শনিবার এই রাজধানীর ব্যাস্ততম সড়ক মতিঝিল এলাকা দেখা গেছে তার চিরচেনা রূপের বাইরে। সাধারণত ছুটির দিনেও এই সড়কটিতে মানুষের আনাগোণা থাকে চোখে পড়ার মতো। কিন্তু আজ সকালে রাস্তায় কোনো বাস দেখা যায়নি, ফুটপাতে খোলেনি কোনো দোকান, এমনকি শাপলা চ্বত্তরের আশাপাশে কিছু রিকশা দেখা গেলেও ছিল না যাত্রী। এছাড়া হতে গোনা কিছু সিএনজি চলাচল করতে দেখা গেছে। আর উবার বা পাঠাও এর মোটরসাইকেল চালকদের দেখা গেলেও অন্যদিনের তুলনায় তাদের সংখ্যা নিতান্তই কম।

তবে রাস্তায় লোকজন না থাকলেও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। টহল টিমের পাশাপাশি বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে তাদের অবস্থান দেখা গেছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের সামনে তাদের উপস্থিতি ছিল অনেক বেশি।

সুজন নামের এক রিকশাচালক বলেন, সকাল ৬টায় রিকশা নিয়ে বের হয়েছি। ৯টা পর্যন্ত মাত্র ৩০ টাকা আয় হয়েছে। রাস্তায় কোনো লোকজন নেই। মানুষ আতঙ্কে বেরই হয়নি। অন্যান্য দিন এ সময়ের মধ্যে আমার ৩০০ টাকা আয় হয়। শনিবার ব্যাংক বন্ধ থাকলেও অন্য সব অফিস খোলা থাকে, ফুটপাতের দোকান খোলা থাকে। আজ মনে হচ্ছে সব কিছু বন্ধ। এভাবে আরও দুইদিন চললে না খেয়ে থাকতে হবে।

চায়ের দোকানদার আবদুল দাঁড়িয়ে আছেন অনেকক্ষণ। জানতে চাইলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, অন্য দিন ভোড় ৬টায় চায়ের দোকান খুলি। আজকে রাস্তায় কোনো মানুষজন নেই। তাই ভাবছি দোতান খুলবো কিনা। কাস্টমারই না থাকলে দোকান খুলে কি করবো! এছাড়া প্রশাসন থেকেও আমাদের বলেছে আজ যেন দোকান না খুলি। দোকান না খুলতে দিলে খাবো কি! আর যদি কোনো গেঞ্জাম লাগে, তাহলেতো দোকান পাট সব শেষ। এ জন্য দোকান পাহাড়া দিচ্ছি। কারণ আমার সম্বল এইটুকুই।

পাঠাও এর মোটরসাইকেল চালক শামীম বলেন, ভোড়ে রাস্তায় নেমেছি। একজন যাত্রী নিয়ে মতিঝিল আসার পথে রাস্তায় দুই জায়গায় জিজ্ঞেসাবাদ করেছে। এখন এক ঘণ্টা হয়েছে বসে আছি। কোনো যাত্রী নেই।

ঘরোয়া খাবার হোলেটের কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ভোর বেলা হোটেল খোলা হয়েছে। কিন্তু কোনো কাস্টমার নেই, বেচা-বিক্রিও নেই। আমরা অলস সময় পার করছি। অন্য দিন ভোড় বেলা থেকেই হোটেলে ভিড় লেগে থাকে। আজ একেবারেই ফাঁকা।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২২
জিসিজি/এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।