রাজশাহী: রাজশাহীর তানোর উপজেলায় পালিত হলো ঐতিহাসিক ‘তানোর দিবস’। রোববার (১১ ডিসেম্বর) সকালে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির উদ্যোগে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে দিবসটি পালন করা হয়।
রাজশাহীর তানোর উপজেলার গোল্লাপাড়া এলাকায় নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে প্রথমে ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার পক্ষে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন দলটির নেতাকর্মীরা।
পরে দলের রাজশাহী জেলা, মহানগর ও তানোর উপজেলা কমিটির পক্ষ থেকে শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন শেষে সেখানে সংক্ষিপ্ত আলোচনা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন - ওয়ার্কার্স পার্টির রাজশাহী জেলার সভাপতি রফিকুল ইসলাম পিয়ারুল, মহানগরের সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ প্রামাণিক দেবু, জেলার সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক তোতা, মহানগর সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য আব্দুল মতিন, জেলার সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য আব্দুল মান্নান, বিমল চন্দ্র রাজোয়ার, গণেশ মাঝি, সদস্য মনিরুজ্জামান, আব্দুল জলিল, বকুল ইমতিয়াজ, শিমুল রানা, সাদ্দাম, মোহাম্মদ জলিল, নওশাদ আলী, শাহিন শেখ প্রমুখ।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি এখন ক্ষমতায়। কিন্তু দুর্ভাগ্য, সেই প্রগতিশীল কৃষক আন্দোলনের ৪৪ নেতাকর্মীর গণকবরের স্থানটি রক্ষণাবেক্ষণের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। কেবল বছরে শুধু একটি দিন (১১ ডিসেম্বর) ওয়ার্কার্স পার্টিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীদেরই ফুলেল শুভেচ্ছার মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করতে দেখা যায়। কিন্তু এ পর্যন্ত ক্ষমতাসীন কোনো সরকারই মর্মান্তিক ও লোমহর্ষক ঘটনার মাইলফলক হিসেবে ইতিহাসের পাতায় গাঁথা এই দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপনের জন্য কোনো উদ্যোগ আজও গ্রহণ করেনি।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৩ সালের ১১ ডিসেম্বর তৎকালীন সরকার প্রগতিশীল কৃষক আন্দোলনের (বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল এম.এল) রাজশাহী জেলার তানোর থানার গোল্লাপাড়া বাজারের গোডাউনের পার্শ্বে এরাদ আলী, এমদাদুল হক মুন্টু মাস্টার ও রশিদসহ ৪৪ বিপ্লবী শহিদ নেতাকর্মীকে নির্মমভাবে নির্যাতনে হত্যা করে রাতের আঁধারেই গণকবর দেয়। এরপর থেকেই ঐতিহাসিক এ দিনটি পালন করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২২
এসএস/এসএএইচ