ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নীলফামারীতে তীব্র শীতের সঙ্গে ভিড় বাড়ছে গরম কাপড়ের দোকানে

ডিষ্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২২
নীলফামারীতে তীব্র শীতের সঙ্গে ভিড় বাড়ছে গরম কাপড়ের দোকানে

নীলফামারী: শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে উত্তরের জনপদ নীলফামারীতে। সন্ধ্যার পর তাপমাত্রা কমে ১৪ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে।

ফলে বেশ শীত অনুভূত হচ্ছে এ অঞ্চলে। সেই সঙ্গে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। কুয়াশার কারণে দিনেও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন।

গত ৩ থেকে ৪ দিন যাবত এ অঞ্চলে সূর্যের দেখা মিললেও গরমের তীব্রতা একেবারেই নেই। সন্ধ্যার পর থেকে বইছে ঠাণ্ডা বাতাস, মাঝারি কুয়াশায় ঢেকে আছে নীলফামারীর শহর-গ্রাম। সকাল ৮টা পর্যন্ত যানবাহন চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে।

হিমালয়ের পাদদেশের এলাকা হওয়ায় হিমেল বাতাসে চরম বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। ঠাণ্ডা জেঁকে বসতে শুরু করায় বাড়ছে ছিন্নমূল মানুষের দুর্ভোগ। শীতবস্ত্রের অভাবে কোনোমতে পুরনো কাথা-কম্বল জড়িয়ে রাত পার করছেন তারা। পাশাপাশি হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। এদের মধ্যে শিশুরাই বেশি।
শীতের তীব্রতায় নীলফামারীর সৈয়দপুরে জমে উঠতে শুরু করেছে পুরনো গরম কাপড়ের দোকান। তবে গত বছরের তুলনায় এবার দাম কিছুটা বেশি। সেই সঙ্গে উঠতি যুবকদের চাঁদাবাজিতেও অতিষ্ঠ মৌসুমি এই খেটে খাওয়া মানুষগুলো।

এদিকে রেললাইনের ধারে জটলাভাবে দোকানের পসরা বসায় যে কোন সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন অনেকে।

কাপড় ব্যবসায়ীরা জানান, এবার বেবি বেল ৭ হাজার থেকে শুরু করে ৯ হাজার টাকা পর্যন্ত মহাজনদের কাছ থেকে কিনতে হচ্ছে। অথচ একই মাল গত বছর ছিল ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা। একইভাবে জ্যাকেটের বেল ১১ হাজার থেকে ১৮ হাজার, সোয়েটার ৭ হাজার থেকে ১০ হাজার এবং কম্বল ১২ হাজার থেকে ৩২ হাজার টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে। প্রতি বেলে গত বছরের তুলনায় গড়ে দেড় হাজার টাকা বেশি। বেল ভাঙার পর কাপড়গুলোর একটা গড় মূল্য নির্ধারণ করে বিক্রি করা হয়। খরচ বাদে যা থাকে তাতে মোটামুটি ভালোই লাভ হয়। তাছাড়া এবার কয়েকজন ব্যবসায়ী ভারতীয় শীতের কাপড়ও আমদানি করছেন।

সৈয়দপুর বণিক সমিতির সভাপতি ইদ্রিস আলী জানান, এ বাজার জেলার সর্ববৃহৎ বাজার। আশপাশের জেলা থেকে পাইকাররাসহ খুচরা প্রায় লাখ লাখ টাকার কেনাবেচা হয়। তবে এসব ব্যবসায়ীর স্থায়ী কোনো স্থান না থাকায় রেললাইনের ধারে অনেক ঝুঁকি নিয়ে ব্যবসা করছেন তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২২
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।