ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

গোলাপবাগ মাঠে ক্ষতিপূরণ আদায়ের মতো ক্ষতি হয়নি

সৈয়দ ঋয়াদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২২
গোলাপবাগ মাঠে ক্ষতিপূরণ আদায়ের মতো ক্ষতি হয়নি

ঢাকা: ক্ষতিপূরণ দেওয়ার শর্তে রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে গণ সমাবেশ করতে বিএনপিকে অনুমতি দিয়েছিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। সমাবেশের একদিন পর জানা গেল নির্মাণাধীন খেলার মাঠটিতে ক্ষতিপূরণ আদায়ের মতো কোনো ক্ষতি হয়নি।

রোববার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে গোলাপবাগ মাঠে সরেজমিনে যায় বাংলানিউজ। পুরো মাঠ ঘুরে ক্ষতি হয়েছে, এমন কোনো দৃশ্য চোখে পড়েনি। সমাবেশ ঘিরে নির্মিতব্য গ্যালারির দরজা, জানালা বা প্যাভিলিয়নেও কোনো ক্ষতি হয়নি। মাঠের যেখানে যেখানে ব্যানার ফেস্টুন লাগানো ছিল- সেগুলো সকালেই খোলা হয়েছে। মাঠ পরিচ্ছন্নতার কাজও প্রায় শতভাগ শেষ করেছে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ।

মাঠটি আধুনিকায়নসহ ব্যাপক উন্নয়ন কাজ চলছে গত কয়েক বছর ধরে। চার একর আয়তনের গোলাপবাগ মাঠটি তৈরি করতে সরকারের ব্যয় হচ্ছে প্রায় ১৫ কোটি টাকা। পুরো ব্যয়ভার বহন করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। তবে যে প্রতিষ্ঠান মাঠের অবকাঠামো উন্নয়নসহ ঠিকাদারি কাজ করছে তারা এখনও সিটি করপোরেশনকে মাঠটি বুঝিয়ে দেয়নি।

গোলাপবাগ মাঠেই ছিলেন হৃদয় কৃষ্ণ সাহা নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের এক কর্মী। মাঠে অবকাঠামো ক্ষতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বাংলানিউকে বলেন, অবকাঠামো কোনো ধরণের ক্ষতি হয়নি। গ্যালারি ছাড়া কোথাও তেমন ক্ষতির কিছু নেই। গ্যালারিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। তবে ব্যানার পোস্টারে যে ময়লা হয়েছিল সেগুলো সিটি করপোরেশন পরিষ্কার করে ফেলেছে। এখন কিছু ময়লা নেওয়া বাকি। সেগুলো নেওয়ার কাজ চলছে। এ সময় সিটি করপোরেশনকে মাঠ বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি বলেও তিনি জানান।

জানা গেছে, মাঠটি বুঝিয়ে দিতে ঠিকাদারি আরও কিছুটা সময় লাগবে। কারণ এখনও বেশ কিছু কাজ বাকি। সব কাজ শেষ করতেও সময় লাগবে। পুরো কাজ শেষ করে সংশ্লিষ্টদের মাঠ বুঝিয়ে দেওয়া হবে। তার আগে মাঠে গ্রিন ফিল্ড প্রস্তুত, প্রধান ফটক তৈরি, গ্যালারিতে ফার্নিচারসহ অনেক কাজ করতে হবে। সব কাজ শেষ করতে অন্তত ছয়মাস সময় লাগতে পারে বলেও জানান হৃদয় কৃষ্ণ সাহা।

গোলাপবাগ মাঠটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫ নম্বর অঞ্চলের আওতাধীন এলাকায়। সেখানকার নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলতে তার ফোন নম্বরে কলা করা হয়। কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি। পরে অঞ্চল-৫’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম জয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।

বাংলানিউজকে জয় বলেন, আমরা সকালে মাঠের ক্ষতিপূরণ নিরূপণ করেছি। খুব কম ক্ষতি হয়েছে, কিছু গাছ ভেঙেছে। দেয়ালের কিছু গ্রিল খুলে গেছে। আমরা মেয়রের কাছে প্রতিবেদন জমা দেব। ক্ষতিপূরণ আদায়ের মতো কিছু হয়নি। যেটুকু হয়েছে আমরা নিজ খরচায় ঠিক করবো।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২২
এসআর/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।