ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

অর্থ হাতিয়ে নেওয়ায় বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক গ্রেফতার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২২
অর্থ হাতিয়ে নেওয়ায় বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক গ্রেফতার

সাভার, (ঢাকা): ঢাকার ধামরাইয়ে অর্থ আত্মসাত মামলায় হাসপাতাল থেকে যাদবপুর বিএম স্কুল অ্যান্ড কলেজের বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক আলী হায়দারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মফিজুর রহমান মল্লিক।



এর আগে, সকালে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আকলিমা আক্তার বাদী হয়ে বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক আলী হায়দার ও তার সহযোগী লিটন মিয়া নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেন। ওই মামলায় ধামরাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এসআই মফিজুর রহমান মল্লিক বলেন, চাকরি ও ক্যান্টিন ভাড়া দেওয়ার কথা অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে আলীর নামে আদালতে মামলা চলছে। প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাৎ ও এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে আলীকে সেপ্টেম্বরে প্রতিষ্ঠান থেকে বরখাস্ত করা হয়। তারপর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। সোমবার সন্ধ্যায় পাওনাদাররা তাকে স্কুল এলাকায় পেয়ে মারধর করেন। অসুস্থ হয়ে পরলে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আজ তাকে অর্থ আত্মসাতের মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় বাসিন্দা লিটন মিয়ার সহায়তায় প্রধান শিক্ষক আলী হায়দার ২০২২ সালের ৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষা ফি বাবদ ৮ লাখ ৮৪ হাজার ৮শ ৬০ টাকা আদায় করেন। আলী হায়দার ৫ লাখ ৭২ হাজার টাকার রশিদ দেখান। কিন্তু বিবাধী ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আকলিমা আক্তার কেন্দ্র সচিব ও অন্য শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়ে ব্যাংকে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন প্রধান শিক্ষক আলী হায়দার ২ লাখ টাকা জমা করেছেন। বাকি টাকা তিনি আত্মসাৎ করেছেন। স্কুল থেকে বার বার বাকি টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য বললে তিনি দিচ্ছি বলে কালক্ষেপণ করতে থাকেন। এছাড়া এলাকার মানুষের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ২ সেপ্টেম্বর প্রধান শিক্ষক আলী হায়দারকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়। তারপর থেকেই তিনি আত্মগোপনে চলে যান বলেও উল্লেখ করা হয় মামলায়।

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আকলিমা আক্তার বলেন, ২০১৭ সাল থেকে তিনি অনেক অনিয়ম দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। প্রতিষ্ঠানের টাকা আত্মসাতের একটি ঘটনা আমরা পেয়েছি আরও তদন্ত করছি। এছাড়া তিনি পিয়ন নিয়োগের কথা বলে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৮ লাখ টাকা নিয়েছেন তিনি অভিযোগও আমাদের কাছে এসেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২২
এসএফ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।