ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘সাংস্কৃতিক আন্দোলনই স্বাধীনতা আন্দোলনের বীজ বপন করে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২২
‘সাংস্কৃতিক আন্দোলনই স্বাধীনতা আন্দোলনের বীজ বপন করে’

ঢাকা: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, সাংস্কৃতিক আন্দোলনই স্বাধীনতা আন্দোলনের বীজ বপন করে এবং এর মাধ্যমে স্বাধীনতা পরিপূর্ণতা লাভ করে। ষাটের দশকে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্টি হওয়া ছায়ানট, উদীচীসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন মহান মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

মুক্তিযুদ্ধকালীন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রই ছিল তখন সাংস্কৃতিক আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু। সে সময় সংস্কৃতিকর্মীরা মুক্তিযোদ্ধাদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করেছিল।

রোববার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বিভিন্ন ধারাবাহিক স্বাধিকার ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে এদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৫৮ এর সামরিক শাসন জারি, ১৯৬২ এর শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৬ এর ছয় দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০ সালের নির্বাচন ও ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে জন্ম লাভ করে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের।  

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও বাংলাদেশ শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অসীম কুমার দে, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবুবকর সিদ্দিক ও জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক কবি মিনার মনসুর।

সংস্কৃতি সচিব মো. আবুল মনসুর বলেন, বুদ্ধিবৃত্তিক সাংস্কৃতিক চর্চা রাজনৈতিক অধিকার সচেতন করে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মাধ্যমে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন সংস্কৃতিকর্মীরা। সুকুমারবৃত্তির বিকাশ, সৃজনশীলতা ও মননশীলতা বিকাশে সংস্কৃতি চর্চা ও বিকাশ অত্যাবশ্যক। কেননা সংস্কৃতি চর্চা মানুষের মনের অন্ধকার, গোঁড়ামি ও কুসংস্কার দূর করতে সহায়তা করে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মনিরুল আলম। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) হাসনা জাহান খানম।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২২
এইচএমএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।