ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মামার বাড়ি বেড়াতে এসে নিখোঁজ, মরদেহ মিলল ডোবায়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০২৩
মামার বাড়ি বেড়াতে এসে নিখোঁজ, মরদেহ মিলল ডোবায় ইমরান

কুমিল্লা: কুমিল্লার দেবিদ্বারে মামার বাড়িতে বেড়াতে এসে নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর ডোবায় ভাসমান অবস্থায় আলী ইমরান নামে (২) এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  

মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার খাইয়ার গ্রামের জাকির মাস্টারের বাড়ির দক্ষিণ পাশের একটি ডোবা থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

আলী ইমরান দেবিদ্বার উপজেলার বুড়িরপাড় গ্রামের দুবাই প্রবাসী মো. জসীম উদ্দিনের ছেলে।  

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ১৩ ডিসেম্বর মায়ের সঙ্গে ভাই-বোন মামার বাড়ি খাইয়ার গ্রামে বেড়াতে আসেন। শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে নিজ বাড়ি বুড়িরপাড় যাওয়ার কথা থাকলেও সকাল সাড়ে ১০টায় সে নিখোঁজ হয়। এলাকায় মাইকিং ও থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন স্বজনরা। পুলিশ এলাকার ৪০টি বাড়িতে অভিযান এবং তিনটি পুকুরে জাল ফেলেও তার সন্ধান পায়নি। মঙ্গলবার ফজরের নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক মুসল্লি ডোবায় ইমরানকে ভাসতে দেখে স্বজন ও পুলিশকে খবর দেন।  

শিশুর নানি পিয়ারা বেগম বলেন, আমাদের সঙ্গে কারো দ্বন্দ্ব নেই। আমি তাকে কোল থেকে নামিয়ে ঘরে যাই। ১০-১৫ মিনিট পরই সে নিখোঁজ হয়। ঘরের পাশের বিশাল পুকুর, অথচ বাড়ির দক্ষিণ পাশের একটি ডোবায় তার মরদেহ পাওয়া গেছে।  

দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমল কৃষ্ণ ধর জানান, গত ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আলী ইমরানের মা হোসনেয়ারা বেগম থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। আমরা ওই এলাকার প্রতি ঘরে তল্লাশি চালিয়েছি। কয়েকটি পুকুরেও অনুসন্ধান করেছি। এর তিন দিন পর ডোবায় ভাসমান অবস্থায় শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করেছি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
 
তিনি আরও বলেন, যে ডোবা থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়, তা ছিল তার মামার বাড়ি থেকে দুই ঘর পরে। শিশুটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন নেই। তারপরও ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।