সিলেট: সিলেটের বিখ্যাত সাদা পাথর লুটের ঘটনায় হতবাক সারাদেশ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে বইছে সমালোচনার ঝড়।
বুধবার (১৩ আগস্ট) ভোলাগঞ্জে লুট হওয়া সাদা পাথর এলাকা পরিদর্শনে যায় দুদকের একটি টিম।
দুর্নীতি দমন কমিশন সিলেট সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক নাজমুস সাদাত রাফির নেতৃত্বে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন টিমের সদস্যরা। তারা পুরো এলাকা ঘুরে দেখেন ও প্রাথমিকভাবে তথ্য সংগ্রহ করেন।
দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) তানজির আহমেদ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলের অসাধু ব্যক্তিদের যোগসাজশে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর এলাকায় অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি সাধনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইনফোর্সমেন্ট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
এর আগে, ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর লুটপাটের অভিযোগ এনে দুদক চেয়ারম্যান বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সালাহ উদ্দিন রিগ্যান।
অভিযোগপত্রে তিনি কয়েকটি জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ শিরোনাম যুক্ত করে উল্লেখ করেন, ভোলাগঞ্জের পর্যটন কেন্দ্রে সাদা পাথর লুট করে দেশের পর্যটন শিল্পে ধস নামানো হয়েছে। লুটে নেওয়া হয়েছে হাজার কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় সম্পদ। পাথর ও পর্যটন স্পট এখন ধ্বংসের পথে।
তিনি এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকারের পতনের পর প্রশাসনিক শিথিলতার সুযোগে লুটেরারা শুরু করে পাথর তোলার ধ্বংসযজ্ঞ।
দুই সপ্তাহ ধরে ভোলাগঞ্জের এই জনপ্রিয় পর্যটন এলাকায় লুটপাটে এলাকা লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।
এনইউ/এসআইএস