ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সিলেটে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২৩
সিলেটে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা

সিলেট: প্রকৃতিতে এখন চলছে মাঘ মাস। মাঘের শীতে বাঘ পালায় প্রবাদের মর্মার্থ এবার হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন উত্তর পূর্বাঞ্চলের সিলেটের মানুষ।

দেখতে দেখতে মাঘ মাসের চারদিন অতিবাহিত হলো। তবে মাঘের শুরুতে এখনো মেঘের দেখা না মিললেও হাড় কাঁপানো শীতে কাঁপছে সিলেটবাসী।

সিলেটে চলতি বছরের বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল। দিনভর মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে সিলেটের ওপর দিয়ে। তীব্র ঠাণ্ডায় কাবু ছিল নগরের জনজীবন।  রাতের তাপমাত্রাও অপরিবর্তিত ছিল এমনটি জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

সরেজমিন দেখা গেছে, তীব্র ঠাণ্ডায় রাতে নগরের ফুটপাতগুলোতে ছিন্নমূল মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। অনেকে নামে মাত্র উষ্ণ কাপড় ও হালকা কম্বল গায়ে জড়িয়ে খোলা আকাশের নিচে রাত যাপন করছেন।  

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সিলেটের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, সিলেটে এ বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল বুধবার ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি। যে কারণে জনজীবনে তীব্র ঠাণ্ডা অনুভূত হয়েছে। রাতের তাপমাত্রাও অপরিবর্তিত রয়েছে। দিনভর ছিল মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।

শৈত্যপ্রবাহ আরও তিনদিন থাকতে পারে জানিয়েছেন তিনি বলেন, গত বছর সিলেটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছিল ১০ ডিগ্রি। এবার শীতে তাপমাত্রা নেমেছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে।  

আর তাপমাত্রা পারদ যত কমছে, ততই শীতের কাপড়ের প্রতি ঝুঁকছেন মানুষ। নিম্নবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্তরা ফুটপাতে এবং অলিগলের দোকানে শীতের কাপড় কিনতে ভিড় করতে দেখা গেছে। তাছাড়া মার্কেট বিপণিবিতানগুলোতে শীতের কাপড়ে ছাড় দেওয়ার সুযোগও লুফে নিতে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে।

এছাড়া ঘন কুয়াশার কারণে সিলেট বিভাগে ঘন ঘন দুর্ঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে রাতের কুয়াশাচ্ছন্ন সড়কে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।  

এদিকে শিশু ও বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছেন ঠাণ্ডাজনিত রোগে। গত কয়েকদিনে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেটের বিভাগীয় পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায়।  

ঠাণ্ডাজনিত রোগে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সিলেটে ঠাণ্ডা বেড়ে যাওয়াতে শিশু ও বয়স্কদের যত্ন নিতে পরামর্শ দিয়েছেন ডা. হিমাংশু।  

বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২৩
এনইউ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।